মওলানা ভাসানীর দর্শনের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : মোস্তফা

রাষ্ট্র-সমাজ ও গণতন্ত্রের যেকোনো সঙ্কট থেকে উত্তরণে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, তার দর্শনের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের যে মহামারি চলছে তা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) নয়া পল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ-ন্যাপ আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে আমারা যে গভীর গভীর সংকটে আছি, তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের অবশ্যই মাওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে। তার দর্শন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মওলানা ভাসানী বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। বাঙালি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।
ভাসানী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জ্বলন্ত প্রতীক উল্লেখ করে ন্যাপ মহাসচিব বলেন, সমগ্র জাতিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন একজন মানুষ। তখন যিনি জাতির নেতা ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। তিনি সত্যি কথা বলা শিখিয়েছেন।
জুলুম আর জালেমের বিরুদ্ধে মজলুম গণমানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানী উল্লেখ করে গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি চিরজীবন শোষিত শ্রেণীর মুক্তির পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন।
মওলানা ভাসানীই প্রথম পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতা বীজ বপিত করেছিলেন বলে দাবি করেন ন্যাপ মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষেরা যখন শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতিত-নিপীড়িত, তখন মুক্তি সংগ্রামে মওলানা ভাসানী আমাদের আলোকবর্তিকা।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এএইচআর/এমএইচএস