৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়নি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ দেশ দিয়েছে কিন্তু ৫০ বছরেও সেই প্রেক্ষাপটে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগে ছিল পশ্চিম আর পূর্ব পাকিস্তানের দুই অর্থনীতি, এখন সেই অর্থনীতি হয়েছে ধনী আর দরিদ্রের।
তিনি বলেন, বর্তমানে শহর আর গ্রামে দুই সমাজ। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি শাসকরা ধর্মের আবরণ নিয়ে হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, লুট করেছে। এখন ধর্মের আচরণ সবখানে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা’ ঘোষণার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বামপন্থীদের ভূমিকা ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সাম্প্রদায়িকতার ঘৃণ্য ছোবল পড়ছে মাঝে মধ্যেই। কিন্তু যারা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলছে তারাই সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। খুব সহজেই এখন জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার কথা বলা যায়, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি করা যায়। জেলখানা থেকে আলেম-ওলামার নামে দুষ্কৃতিকারীদের মুক্ত করার কথা বলা হয়। পাকিস্তানি আমলে রাষ্ট্র অর্থনীতি সামরিক-বেসামরিক আমলা ও বাইশ পরিবারের হাতে বন্দি ছিল, এখন তার পরিসর আরও সংকীর্ণ হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র এখন বন্দি ক্ষুদ্র অতিধনী আর সামরিক-বেসামরিক আমলা নেতৃত্বের হাতে। ৫০ বছরে পাকিস্তানি অতীতের পরিবর্তন আসেনি বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ও মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা অস্বীকৃত। কারণ ’৪৮ থেকে ’৭১ পর্যন্ত, এমনকি স্বাধীনতার পরও বামপন্থীরা লড়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটি সমতাভিত্তিক সমাজের জন্য।
আলোচনায় আরও অংশ নেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, উন্নয়নকর্মী ও সাবেক বাম নেতা শামসুল হুদা প্রমুখ।
এইউএ/এসকেডি