ইমিগ্রেশন প্রতারণা বন্ধে কঠোর হচ্ছে কানাডা

ইমিগ্রেশনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে কানাডা। দেশটির ফেডারেল ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশিপ মন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো বলেছেন, ইমিগ্রেশন পরামর্শকদের ওপর খবরদারি বাড়ানোসহ প্রতারকদের চিহ্নিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রচারণার লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসন এবং ভ্রমণের জন্য সারা বিশ্বের মানুষের অন্যতম আগ্রহের গন্তব্য কানাডা। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কানাডায় আসেন। অভিবাসনের আবেদনের সময় অনেকেই পরামর্শকদের স্মরণাপন্ন হন। এক শ্রেণীর অসাধু পরামর্শক অভিবাসন পদ্ধতির অপব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। পরামর্শকের প্রয়োজন হলে কেবলমাত্র কানাডা সরকারের অনুমোদিত আইনজীবী বা অভিবাসন পরামর্শকদের সহায়তা নেওয়া উচিত।
মন্ত্রী বলেন, অভিবাসনের নামে প্রতারণা বন্ধ করতে কানাডা সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অভিবাসনে আগ্রহীদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অভিবাসন পদ্ধতিকে শক্তিশালী করতে আবেদন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি পর্যন্ত নজরদারি বাড়ানো, প্রতারণা বিরোধী প্রচারণাসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নিজে কিংবা পরামর্শকের সাহায্য নিয়ে যেভাবেই অভিবাসনের আবেদন করা হোক না কেন, কানাডা সব আবেদনপত্রই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখে। এখানে কেউ বাড়তি কোনো মনোযোগ বা সুবিধা পায় না। কানাডা ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইটে অভিবাসনের নিয়মাবলী এবং প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজভাবে উল্লেখ করা আছে।
কানাডায় ইমিগ্রেশনের নামে বিভিন্ন দেশে প্রতারণার কথা অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’র প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় এক ভার্চুয়াল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার সারসংক্ষেপ ইমিগ্রেশন মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল।
আরএইচ