কানাডায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

কানাডায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে টরন্টোর ৯ ডজ রোড়ের রয়্যাল লিজিয়ন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী আব্দুল বাসেতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনস্যাল জেনারেল লুৎফর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. মোজাম্মেল খান, কামালউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সূচনা হয়। সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান সাংস্কৃতিক কর্মী জনি ফ্রান্সিস গোমজ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ড. এ এম এম তোহা।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক মাহবুব ওসমানী, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফাইজুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ রফিক, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (ডিরেক্টর অ্যাডমিন, বাংলাদেশ বিজিনেস চেম্বার অব কানাডা) ও ড. নুরুন নাহার খানম (শিরিন)। সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি অনুষ্ঠান সফল করতে বিভিন্নভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন, স্মরণিকায় লেখা ও বিজ্ঞাপন দিয়ে সহায়তা করেছেন এবং অনুষ্ঠানের উপস্থিত থেকেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা। বক্তাদের বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। একটি অনগ্রসর পল্লিতে জন্মগ্রহণ করেও বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, ত্যাগ ও নেতৃত্বের কুশলতায় হয়েছিলেন বিখ্যাত। জেল, জুলম, নির্যাতন এমনকি মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে গেছেন তার অভীষ্ট লক্ষ্যে। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে তিনি এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা।
আলোচনা সভা শেষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও ১৫ আগস্টে নিহতদের, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল আহসান চৌধুরী।
পরে কেক কেটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। মানবী মৃধার সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলেন আহমেদ হোসেন, অরুনা হায়দার, কামরান করিম, নবীউল হক বাবলু, এলিনা মিতা, মেহজাবিন বিনতে ওসমান, চিত্রা সরকার, দিলারা নাহার বাবু, হিমাদ্রি রায়, ফারহানা শান্তা, ফ্লোরা সূচি ও আসিফ চৌধুরী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও কবিতা পাঠ করেন। দীর্ঘসময় চলা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবাই আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নৈশভোজ পরিবেশন করা হয়।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি তারিকুল হাসান, এস বি আব্দুল হামিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মোল্লা, এ বি এম সোলেমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ রূপন কান্তি দাস গুপ্ত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক তাপস দেব, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফিরোজা ইয়াসমিন (সিনথিয়া), সদস্য মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম( টিপু), আইনুল কবির, মোস্তাক চৌধুরী, এস এম সালেহীন ও সাগর ঘোষ।
আরও ছিলেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশেদ আহমদ মুক্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল আহমেদ ও সদস্য ঝুটন তরফদার। অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক খালেদ শামীম, প্রচার সম্পাদক আক্রামুল ইসলাম খান, যুব সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমেদ। ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমানসহ ছাত্রলীগের সদস্যরা তৌহিদুর রহমান দুর্জয় মো. সাকিব সোহাগ হোসাইন, তৌহিদুর রহমান আশিক ও তামিম।
/এসএসএইচ/