দুবাইয়ে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন চট্টগ্রামের সালাউদ্দীন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে কোভিডকালিন বিশেষ অবদান এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য অর্জন করায় দুবাই গ্রেটেস্ট ব্র্যান্ড অ্যান্ড লিডার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছেন এশিয়ান স্পেশালাইজ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সালাউদ্দীন আলী।
সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের জো-মেরিয়ট-মারকিউস হোটেলে এশিয়া ও আফ্রিকার শতাধিক লিডারের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাস্থ্য সেবা-কোভিট ১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, গৃহায়ন-বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং সেক্টর ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রমে সক্ষমতার কারণে এ আয়োজনে বাংলাদেশ পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এই ইভেন্টে দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কনস্যুলার সেবার জন্য কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, বাংলাদেশের কোভিডকালীন বিশেষ অবদান ও হেলথ সেক্টরে সফলতা অর্জন করায় চট্টগ্রাম এশিয়ান স্পেশালাইজ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দীন আলী, ব্যাংকিং খাতে সফলতা অর্জন করায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডক্টর এইচ বি এম ইকবাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু জাফর চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও গৃহায়নে অবদানের জন্য হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনকে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়।
সফল ব্যক্তিদের ছাড়াও ইউএই -তে দায়িত্বরত ৫০টি দেশের কূটনৈতিক বিভিন্ন দেশের তারকা খেলোয়াড়, তারকা শিল্পী, সিনে তারকাদের এ ইভেন্টে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্বের নামিদামি ব্যক্তিদের সঙ্গে আমিরাতের রয়েল ফ্যামিলির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ফাঁকে বরেণ্য ব্যক্তিরা তাদের সফলতার গল্প তুলে ধরেন উপস্থিত সুধীজনদের সামনে।
তরুণরা দেশের সম্পদ, এটি সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষিত তরুণ যখন চাকরি নামে সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে একটা সময় নিজেকে বেকার তালিকায় নাম লেখায়, তখন তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এই সঙ্কটময় সময় অকুতোভয় এক তরুণ চাকরির পেছনে না ছুটে চাকরি দেওয়ার পণ করে বসে। বলছিলাম দূরদর্শী সফল তরুণ উদ্যোক্তা এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দীন আলীর কথা।
লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে যুক্ত করেন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবসায়, সেই থেকে শুরু আর পেছনে তাকাতেই হয়নি এ তরুণকে। যদিও শুরুটা ছিল অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
সালাউদ্দিন আলী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে বেশ কিছু প্রজেক্টের একযোগে কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, আমি ও আমাদের প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ সেবা এবং মেধা দিয়ে গুণগত মান ও সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে সফলভাবে এগিয়ে চলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে চাই দেশে মানুষের স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা। এ চাহিদা মেটাতে পারলে দেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। নিজস্ব উদ্যোক্তা ছাড়া এ চাহিদার জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। বেকারত্ব বাংলাদেশের অনেক বড় সমস্যা। উদ্যোক্তা তৈরি করা ছাড়া এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। উদ্যোক্তারা বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে নতুন ও সহজ সমাধানে পারদর্শী। উদ্যোক্তারাই পারবে এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তর করে আগামীর অর্থনৈতিক ভিত গড়ে দিতে। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে চাইলে উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নাই। আগামীর বাংলাদেশ তরুণ উদ্যোক্তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে তার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সালাউদ্দিন আলী সব সময়ই আশাবাদী এক স্বপ্নবাজ, তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী তিনি। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ২০০ জনের বেশি জনবল কাজ করছে।
