কানাডায় ‘মবিলাইজিং নলেজ অন নিউ কামার্স’র তৃতীয় সিম্পোজিয়াম

বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় প্রচুর সংখ্যক অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীরাও রয়েছেন। নতুন আসা এসব অভিবাসীদের কানাডিয়ান সমাজ এবং সিষ্টেমের চলার পথকে আরো সহজ করার লক্ষ্যে ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের "নিউকামারস রিসার্চ নেটওয়ার্কের" উদ্যোগে দি বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্রিমিয়ার ক্যালগেরি প্লাজা হোটেলের কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে "মবিলাইজিং নলেজ অন নিউ কামার্স"এর তৃতীয় সিম্পোজিয়াম।
কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৫ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়। ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের "নিউকামারস রিসার্চ নেটওয়ার্ক" এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করছেন।
এবারের সিম্পোজিয়ামের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল কিভাবে কানাডার দৃশ্যমান সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে গবেষণায় আরো ন্যায়সঙ্গত এবং ক্ষমতায়িতভাবে জড়িত করা যায়। সারাদিন ব্যাপী এই সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন সেক্টরের দুশরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
সিম্পোজিয়ামে একত্রিশটি মৌখিক উপস্থাপনা, চল্লিশটি পোস্টার উপস্থাপনা, দুইটি কর্মশালা এবং একটি গোলটেবিল বৈঠক দিয়ে সাজানো হয়েছে যেখানে বাংলাদেশি অবিভাসীদের প্রতক্ষ অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।
কানাডার বিভিন্ন রিসার্চার, পলিসি মেকার, এবং সার্ভিস প্রোভাইডারসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার মডেল থেকে বেরিয়ে এসে নতুন আসা অভিবাসীদের সঙ্গে একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করাটা এখন খুবই জরুরি।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরি'র এসোসিয়েট প্রফেসর ড.তুরিন চৌধুরী মিডিয়া কে জানান, নতুন আসা অভিবাসীরা কিভাবে বর্তমান সময়ের সাথে কানাডিয়ান সিষ্টেম কে সহজে উপলব্ধি করতে পারে এবং তাদের চলার পথকে আরো মসৃণ করার প্রত্যয় নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।
হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ সেন্টার ইনক এর ফাউন্ডিং ডিরেক্টর জামান আরা মিডিয়া কে জানান, একসময় আমিও নতুন অভিবাসী হয়ে কানাডায় এসেছিলাম। প্রথম আসার সেই অভিজ্ঞতার কথা এখনও মনে আছে। আজকের এই সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে নতুন আশা অভিবাসীরা অনেক কিছু শিখতে পারবে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরির এসোসিয়েট প্রফেসর জ্যাক মার্শাল মিডিয়া কে জানান, এই ইভেন্টের মাধ্যমে আমরা নতুন আসা অভিবাসী এবং কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই, যাতে করে তাঁরা পরবর্তীতে কানাডিয়ান সিষ্টেমের সাথে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
উল্লেখ্য সারাদিন ব্যাপী সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শিক্ষক/গবেষক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, সমাজকর্মী ও সংগঠক, এবং মিডিয়া কর্মীরা তাদের কাজ এবং ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরেন, যা কানাডার সামগ্রিক সমাজ সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এমএসএ