কুয়েতে বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছেন প্রবাসীরা

কুয়েতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত ও মিশরসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেশটিতে মিশরেফ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক টিকাদান কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা কারফিউ প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত করা হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলবে। টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশটিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমও জোর গতিতে চলছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন মসজিদ ও কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশ, ভারত ও মিশরসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পর দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।
স্থানীয় ও প্রবাসীদের টিকার আওতায় আনতে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতেও টিকাদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত কুয়েতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। দেশি ও প্রবাসীরাসহ প্রায় ১২ লাখ মানুষ অনলাইনে টিকার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. বাসিল আল সাবাহ প্রথম টিকা নেন। এর মধ্য দিয়েই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি অনেকেই টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরের আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, করোনার টিকা নিয়েছি। আমার সহকর্মীরাও টিকা নিয়েছেন। সবার নেওয়া শেষ হয়ে গেলে আশা করি কুয়েতসহ পুরো বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। আগের মতো দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবো। করোনায় আমরা আর্থিকসহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
আরএইচ