লন্ডনে ইয়েস মেয়র ক্যাম্পেইনে বাংলাদেশি পর্তুগিজদের সমর্থন

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন ও লন্ডনের লোকাল কাউন্সিলগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মে। নির্বাচন সামনে রেখে লন্ডন বারো অব টাওয়ার হ্যামলেটসে নির্বাচিত মেয়র পদ্ধতির জন্য ভোট দিতে ইয়েস মেয়র ক্যাম্পেইন কর্মসূচি চলছে।
‘নির্বাচিত মেয়র জনগণের কাছে শক্তি’ স্লোগানে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের সমর্থনে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
লন্ডন বারো অব টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাসরত বাংলাদেশি পর্তুগিজ নাগরিকরা ইয়েস মেয়র ক্যাম্পেইনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা অনলাইন ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বিকেলে অনলাইন সভার মাধ্যমে তারা লুৎফুর রহমানকে ও ইয়েস মেয়র ক্যাম্পেইনকে সমর্থন জানান।
সভায় সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানসহ যোগ দেন সাবেক ডেপুটি মেয়র ওহিদ আহমেদ, কমিউনিটি নেতা আবু তাহের চৌধুরী, বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান ও সাংবাদিক শামসুল আলম লিটনসহ অনেকে।
বাংলাদেশি পর্তুগিজদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহ আলম কাজল, নুর মুহাম্মদ কচি, মোশারফ হোসেন কীরন, ইউসুফ তালুকদার, কাজল আহমেদ, ফারুক ব্যাপারী, আবু জাফর, শওকত ওসমান, জাহির আলী, সায়েফ আহমেদ সুইট, শেখ খালেদ মিনহাজ, কায়সল ইসলাম, আবুল বাসার, মিজানুর রহমান, কামরুল আলী, সরদার আহমেদ রায়হান, ফারুক আহমেদ লিটন কাদেরী, নজরুল ইসলাম সুমন, আব্দুল করিম, রেজাউল কারিম রেজা, আনন্দ সিং, শফিকুল ইসলাম, শরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান, তানভীর রনি, মহিন উদ্দীন, আবু তাহের, মোহাম্মদ কাশেম, শামিরুল ইসলাম, শাহ মোয়াজজেম হোসেন, হাবিবুর রহমান খোকন, মাফিক ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে পরপর দুইবার নির্বাচিত বাংলাদেশি নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের উন্নয়নে মেয়র পদ্ধতির বিকল্প নেই। আমি নিজেও দুইবার কাউন্সিলর ছিলাম। কিন্তু ওই পদ্ধতিটি এতটাই দুর্বল যে আমাকে কাউন্সিলরদের মানিয়ে চলতে হতো আর কর্মকর্তাদের কথা মতো কাজ করতে হতো। তাতে জনস্বার্থ কখনও প্রাধান্য পেত না। কিন্তু নির্বাহী মেয়র হিসেবে আমি কাউন্সিলের ১.২ বিলিয়ন বাজেটকে টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রকৃত উন্নয়নে সব সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি। যার ফলে হাউজিং সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে কমিউনিটি পুলিশিং, স্বতন্ত্র মুসলিম কবরস্থানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীর জন্য ধর্মীয়-সামাজিক ও কল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। যা লিডারশিপ পদ্ধতিতে কখনও সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, মেয়র পদ্ধতিতে জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের মেয়র নির্বাচন করে এবং জনগণের হাতেই কর্তৃত্ব থাকে। নির্বাচিত মেয়র জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে বাধ্য থাকেন। কারণ তিনি জানেন তিনি যদি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না করেন তাহলে জনগণ তাকে ছুঁড়ে ফেলবে। আর কমিউনিটির মাঝে গিয়ে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ থাকবে না। সুতরাং লন্ডনের নির্বাহী মেয়র যেমন নির্বাহী কর্তৃত্ব নিয়ে লন্ডনের উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনায় সরকারের সঙ্গে পুরো কর্তৃত্ব নিয়ে কাজ করতে পারেন, ঠিক তেমনি টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র পদ্ধতি তার নির্বাহী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং আমলাতন্ত্র অথবা যেকোনো ধরনের গ্রুপ পলিটিক্সের কবল থেকে টাওয়ার হামলেটসকে রক্ষা করতে পারে। অতীতে এটা প্রমাণিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই মেয়র পদ্ধতি কমিউনিটির উন্নয়ন এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, শিশু ও বৃদ্ধদের কল্যাণসহ সব ক্ষেত্রে কমিউনিটিকে জোরদার করবে।
ব্রিটেনের একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নির্বাচিত মেয়র লুৎফুর রহমান। সিলেটের বালাগঞ্জে তার জন্ম। তিনি যুক্তরাজ্যের স্থানীয় রাজনীতিতে আলো ছড়িয়েছেন। নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে লুৎফুর রহমান আবার ফিরতে চান জনতার মেয়র হয়ে।
এসএসএইচ