পর্তুগালে শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান সোশ্যাল সামিট

পর্তুগালের বন্দরনগরী খ্যাত দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তুতে শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান সোশ্যাল সামিট। ইউরোপের ২৭টি দেশের ২৪ জন রাষ্ট্রপ্রধানসহ ইউরোপিয়ান কমিশন, কাউন্সিল এবং পার্লামেন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন।
ইউরোপের সামাজিক অধিকার বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সদস্য দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান কমিশন গত ৪ মার্চ বেশকিছু উদ্যোগ এবং তিনটি মূল লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। লক্ষ্য তিনটি হচ্ছে- ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে কমপক্ষে ৭৮ শতাংশ কর্মসংস্থানের হার নিশ্চিত করা, কমপক্ষে ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিবছর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেওয়া নিশ্চিত করা, ৫০ লাখ শিশুসহ কমপক্ষে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের সামাজিক বর্জন বা দারিদ্র ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।

সম্মেলনের প্রথম দিনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ (ইউরোপিয়ান কাউন্সিল, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, কাউন্সিল অব দ্য ইউনিয়ন অ্যান্ড কমিশন) ট্রেড ইউনিয়ন এবং ইউরোপিয়ান ব্যবসায়িক সংঘের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি সামাজিক প্রতিশ্রুতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, পর্তু সোশ্যাল সামিটে ইউরোপিয়ান পিলার অব সোশ্যাল রাইট বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক অভিপ্রায় প্রকাশ করছি। এই সামিট ইউরোপের সব প্রতিষ্ঠানসমূহকে সামাজিক অংশীদার, নাগরিক সমাজ এবং জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একত্রিত করেছে। এখানে আলোচনার মাধ্যমে কীভাবে চাকরি, দক্ষতা, নতুনত্ব এবং সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করা যায় তা খুঁজে বের করা হবে।
সম্মেলনটি ৭ মে শুরু হয়েছে এবং এটি শনিবার (৮ মে) পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উর্সুলা ভন ডের লিয়েন এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলসহ রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্ন আলোচনা এবং কর্মপরিকল্পনা অগ্রগতির বিষয়ে পৃথক পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন।
এসএসএইচ