উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতিতে শেষ হলো ইইউর সোশ্যাল সামিট

ইউরোপের সামাজিক অধিকার বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুক্রবার (৭ মে) পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তুতে শুরু হওয়া সোশ্যাল সামিট পর্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে ব্যাপক এবং উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ঐক্যমত্য হয়ে একটি ঘোষণাপত্র (পর্তু ঘোষণাপত্র) স্বাক্ষর করেন। ওই ঘোষণাপত্রে ইউরোপীয় নেতারা একমত পোষণ করেন যে ইউরোপ ধীরে ধীরে করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছোট এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন চাকরি তৈরি, রক্ষা করা এবং চাকরির মানোন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেননা এই প্রতিষ্ঠানগুলোই অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইইউ নেতারা বলেন, লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঐক্য ও সংহতির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির অর্থ হলো সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। অথচ এখনও অনেকে দাবি আদায়ে ধর্মঘট করছে।
ইউরোপিয়ান নেতারা বৈষম্য প্রতিরোধের প্রচেষ্টা এবং কর্মসংস্থান, বেতন ও পেনশনের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি ব্যক্তির সাম্য ও ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া মূল তিনটি লক্ষ্য বাস্তবায়নে আনুষঙ্গিক সব বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন তারা।
এছাড়া দ্বিতীয় দিনে নির্ধারিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-ভারত সামিট অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া আলোচনা ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। নতুন বিনিয়োগ এবং সুরক্ষা, বাণিজ্যিক ও সামাজিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এই সামিটের মাধ্যমে নতুন করে শুরু হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের বর্তমান করোনা উচ্চ সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে সামিটে যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
এসএসএইচ