বিমানের ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা রুট বন্ধের শঙ্কা, বিক্ষোভ

বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা রুটের ফ্লাইট বন্ধের আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা। বিশেষ করে নর্থ ইংল্যান্ডের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের লিডস-এ বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
লিডস বাংলাদেশি সেন্টার বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের উদ্যোগে বিসিএল মিলনায়তনে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, নর্থ ইংল্যান্ডের প্রায় ৩ লাখ প্রবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করেই বাংলাদেশ বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের একটি কুচক্রী মহল ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা ফ্লাইট বন্ধের পাঁয়তারা করছে। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সঙ্গে এ ধরনের বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সঙ্গে এ ধরনের খেলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দাবি না মানলে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, অনলাইনে পিটিশনসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে বাংলাদেশ বিমান বয়কটের হুমকিও দেওয়া হয়।
লিডস বাংলাদেশি সেন্টারের সভাপতি হাজি ওয়ায়েস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আলীর পরিচালনায় কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন আবুল আবেদিন, শাহ আবু বকর, সৈয়দ কবির আহমেদ, অধ্যাপক মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক এম জি কিবরিয়া ও মাহমুদ আজহার, জালাল উদ্দিন, দিলা উর রহমান মুজিব, আহমদ শাফী শামীম ইজ্জাত আলী, হাজি ময়ূর মিয়া, শরিয়ত উল্লাহ, সৈয়দ জহরুুর ইসলাম, বাবুল আহমেদ, জিল্লু মিয়া, ইয়াযর মিয়া, ফজলে রাব্বাী স্মরণ, শাহ কূহিনুর আলম খোকন, আকিকুর রহমান, নূর মিয়া প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বিমানের কর্মকর্তারা সিস্টেমে লস দেখাচ্ছে। বাস্তবতা হলো ম্যানচেস্টার রুটে বিমান লাভজনক। খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে এ রুট বন্ধ করা হলে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বসে থাকবে না। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারকে অতিদ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের নর্থ ইংল্যান্ডে অন্তত তিন লাখ প্রবাসীর অধিকাংশই সিলেটের। ম্যানচেস্টার-সিলেট সরাসরি ফ্লাইটের সুবিধা পাচ্ছেন বার্মিংহাম, নিউক্যাসল, সান্ডারল্যান্ড, গ্রেটার ম্যানচেস্টার ও পুরো স্কটল্যান্ডের প্রবাসীরা। কোনো কারণে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু না করতে পারলে বিকল্প হিসেবে সিলেটে অন্য ফ্লাইট চালুর দাবিও জানানো হয়।
জেডএস