নিউইয়র্কে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মারামারি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য চিত্রনায়ক হেলাল খান।
অনুষ্ঠান শেষে এই দুই নেতার সামনেই মারামারিতে লিপ্ত হন বিবদমান দুই অংশের নেতা-কর্মীরা। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিএনপি নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বেবী নাজনীন। এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করেও কটু কথা বলতে শোনা গেছে।
নেতৃত্বের কোন্দলে প্রায় দেড় দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আবদুস সালামের উদ্যোগে গত ১২ এপ্রিল নিউইর্য়কে ৫০১ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এ কমিটি থেকে বহু নেতা-কর্মী বাদ পড়ায় সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। রোজার সময় অনুষ্ঠিত হয় পাল্টাপাল্টি ইফতার মাহফিল। সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে কমপক্ষে আটটি অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
২৯ মে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি পৃথক অনুষ্ঠান। ৩০ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরও দুটি অনুষ্ঠান। এছাড়া আজও একাধিক অনুষ্ঠান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে।
শনিবারের অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের রোববারের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর এবং সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনসহ অন্যান্য নেতারা। এ অনুষ্ঠানেই শুরু হয় বাদানুবাদের। পরে তা মারামারির রূপ নেয়।
এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেবী নাজনীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আর একাধিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন বিএনপি বড় দল, একাধিক অনুষ্ঠান এ কারণেই হচ্ছে।
আরএইচ