তারেক রহমান হচ্ছেন দৃঢ়তা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক

তারেক রহমান হচ্ছেন দৃঢ়তা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। যিনি বিভাজন নয়, সংহতির বার্তা দেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস বিএনপির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক তারেক রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ জামসেদ আলীর সভাপতিত্বে ও বার্মিংহাম সিটি বিনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপস্থাপনায় আবজাল হোসেন ও আওলাদ হোসেনের যৌথ পরিচালনায় শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
এ সময় মনি বলেন বলেন, তারেক রহমান তার ব্যক্তি, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অনুকরণীয়। এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি অকুণ্ঠ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে যে কাজ করেছেন তা জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সারাজীবন মনে রাখবেন। তিনি যখন স্বৈরতন্ত্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পতাকা হাতে নিয়েছেন, তখন কোটি মানুষ তার কণ্ঠে নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দমন-পীড়ন কিংবা ষড়যন্ত্র—কোনো কিছুই তাকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। তারেক রহমান হচ্ছেন দৃঢ়তা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। যিনি বিভাজন নয়, সংহতির বার্তা দেন। যে কারণে তিনি শুধু মাত্র একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি একজন মহান শিক্ষক ও বটে। ৩১ দফার মধ্য দিয়ে তিনি জাতি গঠনের যে বার্তা দিয়েছেন, যা তৃতীয় বিশ্বের কোনো নেতাই আজ পর্যন্ত দেন নাই। সে কারণে তিনি আজ দেশের মানুষের কাছে তথা তৃতীয় বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
সভায় কয়ছর এম আহমেদ বক্তব্যে বলেন, তারেক রহমানের ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপিকে ভিন্ন ,মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন আমাদের জানিয়ে দেয়- রাষ্ট্র ভূমিকে বাসযোগ্য করে তুলতে মানুষের মনোভূমি নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। ঘরে ঘরে ৩১ দফা পৌঁছে দেওয়ার ভেতর দিয়ে প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের রাজনৈতিক দর্শনকে সমৃদ্ধ করবার ভেতর দিয়ে নির্মিত হবে আগামীর সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। রাষ্ট্র কোনো বায়বীয় ধারণা নয় বরং রাষ্ট্র হলো একটি প্রায়োগিক দর্শন। রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফসল নয় বরং রাষ্ট্র হলো আপামর জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেকে মনে করতেন ‘তিনিই বাংলাদেশ’! কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণভবনের পেছনের দরজা দিয়ে তাকেও পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনে করেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা হবে-দেশের সব জনগণের এবং যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হবে ন্যায্যতা ও সাম্যের ভিত্তিতে এবং সব মানুষের অংশগ্রহণের ভেতর দিয়ে। তারেক রহমান মনে করেন তার প্রতি, তার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীর ওপর যে অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে সেটির জবাব দিতে ৩১ দফার সফল বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন- ৩১ দফার সফল বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে ভোটের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই একটি বসবাসযোগ্য ও আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণ করা সম্ভব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কিছু নাম যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে— তাদের আদর্শ, নেতৃত্বগুণ ও অবদান জাতির ইতিহাসে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। এই নামগুলোর মধ্যে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হলেন তারেক রহমান। তিনি কেবল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নন, বরং একজন ভাবনার নেতা, একজন সংগ্রামী রাজনীতিবিদ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের অদম্য প্রতীক। তার রাজনৈতিক অভিযাত্রা যেমন সংগ্রামময়, তেমনি তিনি সময়ের পরীক্ষায় সত্য ও আদর্শের বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাতুর রেজা, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, যুক্তরাজ্য বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ড. মুজিবুর রহমান, বার্মিংহাম ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস বিএনপি নেতা ইমরান আহমেদ, ইসলাম খান, সারওয়ার আহমেদ, ইমদাদ হোসেন লাভলু, গোলাম সারওয়ার পারভেজ, যুবদল সাধারণ সম্পাদক বাবর চৌধুরী প্রমুখ।
এমএন