‘প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি এবং আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণে নির্বাচন কমিশনের কর্মতৎপরতা দৃশ্যমান দেখতে চাই।
সোমবার (২৮ জুলাই) লন্ডনে স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন : সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ব্রিটেন প্রবাসী বিশিষ্ট আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও লন্ডনের নিউহ্যাম বারার টানা তিন বারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ এসব দাবি জানান।
স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম শামিমের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— যথাক্রমে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার কাউন্সিলর ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন চৌধুরি, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক রহমত আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় কোটি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রবাস থেকে যেন ভোট দিতে পারেন – এটা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে অতীতের কোনো সরকারই এই দাবি পূরণে সত্যিকার আন্তরিকতা দেখায়নি। বিগত ৫৪ বছর শুধু মুলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। অথচ এই দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের অবদান ছিল অপরিসীম। একমাস রেমিট্যান্স শাট ডাউন করে পতিত সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। ভোটের অধিকার তাদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এবার যদি প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হয় আর কখনও হয়তো করা হবে না। কোনো রাজনৈতিক সরকার করবে না। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সব প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি জানাতে হবে– আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো উপায়ে প্রবাসীরা প্রবাস থেকে যেন ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
অবিলম্বে গণঅভ্যুত্থানের লিখিত দলিল হিসেবে ‘জুলাই সনদ’ ও এতে প্রবাসীদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি সন্নিবেশ করার জোর দাবি জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ বলেন, দেড় কোটি প্রবাসীদের ভোটাধিকার তাদের ন্যায্য অধিকার। এটা আসন্ন নির্বাচনেই নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। তাদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের ভোটাধিকার আসন্ন নির্বাচনে নিশ্চিত করতে হবে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধান এখনও বহাল। জুলাই সনদ দিতে ব্যর্থ হলে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে। তিনি প্রবাসীদের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সহসভাপতি ড. মুহাম্মদ মুঈনুদ্দীন মৃধা ও মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, পিস ফর বাংলাদেশের সহসভাপতি মাহিন খান, অনলাইন একটিভিস্ট ফোরাম ইউকের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, জাস্টিস ফর ভিক্টিমস ইউকের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, রাইটস অব দ্যা পিপলের সভাপতি আসাদুজ্জামান শাফী, স্ট্যান্ড বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলম, তথ্য সম্পাদক সিরাজুম মুনির, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সহকারী সেক্রেটারি রায়হান আহমেদ, ইস্ট লন্ডন শাখা সভাপতি আব্দুল হামিদ তাজুল প্রমুখ।
এমএন