কুয়েতে ভিসার দালালদের পক্ষ নিয়ে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রবাসীর অভিযোগ

কুয়েতে ভিসা ব্যবসায়ীদের দালালদের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রফিকুল ইসলাম নামের এক প্রবাসী। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রবাসী সাংবাদিকদের নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।
গণশুনানিতে রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানের সংবাদকর্মীরা যারা আছেন, তারা ভিসা ব্যবসায়ী ও ভিসা দালালদের নিয়ে কথা বলেন। আমি ভিসা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে চাই। মিডিয়া বারবার এই বিষয়গুলো বেশি প্রচার করছে ‘আমরা দালাল, বাংলাদেশিরা দালাল’। তারা তুলে ধরছে– আমরা একটা চোর, যা এখানে কুয়েতিরা দেখে, কুয়েত সরকার দেখে, এখানের এজেন্সিগুলো দেখে, তাদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়। এতে বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়া কঠোর হয়ে যায়। তারা (সাংবাদিকরা) বাংলাদেশকে খারাপভাবে উপস্থাপন করছেন। খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে ভালো দিকগুলো তুলে ধরারও আহ্বান করেন এই প্রবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন অসাধু ভিসা দালাল চক্র ও তাদের তথাকথিত মুখপাত্রদের হুঁশিয়ার করে বলেন, প্রবাসীদের কষ্টের ঘাম ও স্বপ্ন নিয়ে ব্যবসা করার দিন শেষ। হাজার হাজার নিরীহ প্রবাসীর জীবন ধ্বংস করে কয়েকজন সুবিধাভোগী চামচার মাধ্যমে সত্য ধামাচাপা দেওয়ার নোংরা খেলায় সফল হওয়া যাবে না। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ও প্রবাসী সংবাদকর্মীরা সবসময় নিপীড়িত ও প্রতারিত প্রবাসীদের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, দূতাবাস কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে দালালদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে। সত্যকে চাপা দেওয়ার ষড়যন্ত্র যত গভীরই হোক, প্রবাসীদের আর্তনাদ ও সাংবাদিকদের কলম তা উন্মোচন করবেই। মনে রাখবেন, ভিসা বাণিজ্যের নামে প্রবাসীদের সর্বনাশ করলে, প্রতারণার মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন ভেঙে দিলে অথবা অন্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা করলে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও আইনের শাস্তি থেকে কোনো দালাল কিংবা মধ্যস্থতাকারী রক্ষা পাবে না। প্রবাসীরা আর নীরব ভিকটিম নয়, তারা সচেতন, সংগঠিত এবং অধিকার আদায়ে অটল। তাই অসাধু চক্র এখনই সতর্ক হন, নইলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। সত্য ও প্রবাসীর অধিকার কখনো পরাজিত হবে না।
শুক্রবার বাংলাদেশ দূতাবাসে গণশুনানিতে অসাধু ভিসা দালালদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচার বন্ধ করতে দূতাবাসে অভিযোগ করার পর সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক মহসিন পারভেজ তাৎক্ষণিক উচিত জবাব দেন। এজন্য মহসিন পারভেজকে সাধুবাদ জানান বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি।
প্রসঙ্গত, কুয়েত প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ ও পরামর্শ শুনতে প্রতি মাসে দুই শুক্রবার গণশুনানির আয়োজন করা হয়। এ গণশুনানিতে উপস্থিত থেকে সমস্যার সমাধান ও প্রশ্নের জবাব দেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, কাউন্সেলর দূতালয় প্রধান মনিরুজ্জামান, মিনিস্টার শ্রম আবুল হোসেন, কাউন্সেলর পাসপোর্ট-ভিসা সচিব ইকবাল আক্তার।
এসএসএইচ