লন্ডনে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ

যুক্তরাজ্যের পূর্বলন্ডনের হোয়াইটচ্যাপলে লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের টাউনহলের সামনে ও আশপাশের এরিয়া জুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে ভিন্ন-ভিন্ন স্লোগানে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে শান্তিকামী হাজারো মানুষের সমাগম হয়। সবার একটাই কথা বর্ণবাদ নিপাত যাক, সমাজে শান্তি  ফিরে আসুক। বিভেদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য। ডানপন্থীদের মিছিল ঠেকিয়েছি, এই অর্জন শান্তিকামী মানুষের।

শান্তি মিছিলে আসা রাবাব হোসেইন বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। নেই কোনো বিভাজনের সুযোগ। ডানপন্থীদের উগ্র কর্মসূচি ও মিছিল আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঠেকিয়েছি। 

ক্রিস্টাস বলেন, বর্ণবাদ, সহিংসতা এবং বিভেদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য প্রদর্শনের জন্য আজ আমরা এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে একত্রিত হয়েছি। ঐক্যই আমাদের শক্তি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ ও শান্তি মিছিলে এসে সমবেত হন জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে বহুজাতিক সচেতন ব্রিটিশ নাগরিকরা, ব্রিটিশ বাঙালি এমপি, মেয়র, স্থানীয় কাউন্সিলর, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সমাজকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শিশু, নারীসহ সাধারণ নাগরিকবৃন্দ।

ঐক্য, সম্প্রীতি ও বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

সরেজমিন দেখা যায়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের জন্য টাউনহলের আশেপাশে রোডগুলো গাড়ি চলাচল বন্ধ করে সাধারণ জনগণের জন্য চলাচল উন্মুক্ত রেখেছে এবং কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। 

এক বিবৃতিতে মেট পুলিশ জানিয়েছে, জননিরাপত্তার স্বার্থে এবং বিশৃঙ্খলা কমিয়ে আনার জন্য ইউকিপের ইভেন্টটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারই আগে থেকে শনিবার (গতকাল) এখানে ইউকিপের (চরম ডানপন্থি মতাদর্শ বিশ্বাসী রাজনৈতিক গোষ্ঠী) সমাবেশ ঘোষণা করা হয়। তারা এখানে প্রায়শই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের আয়োজন করে থাকে, বিশেষ করে লন্ডনের মতো বড় শহরগুলিতে তাদের কার্যক্রম দেখা যায়। যখন তাদের আগমন হয় তখন জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। এগুলো এড়াতে পুলিশ সেটি আগে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। যার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি। 

বর্ণবাদ বিরোধী সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্য বহুজাতিক মানুষের দেশ, এখানে মানুষ মিলেমিশে থাকবে, শান্তিপূর্ণ সমাজ ও উন্নত ব্রিটেন গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এই ব্রিটেনে আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষেরা কোনো বর্ণবাদ, ফ্যাসিস্ট, মাদক ও সন্ত্রাসবাদ দেখতে চাই না।

শান্তি সমাবেশে সবাই প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিলো, সেখানে লেখা ছিল– স্ট্যান্ড আপ দ্যা রেইসিজম। সবার মুখে মুখে স্লোগান ছিল— ‘স্টপ দ্যা ফার রাইট, নো ইসলামোফোবিয়া, নো এন্টিসিমিটিজম, উইমেন এগেইস্ট দ্যা ফার রাইট, রিপোজি আর ওয়েলকাম হিয়ার।’

বিআরইউ