করোনা কেড়ে নিল খোলা মাঠের ঈদ আনন্দ
চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা খোলা মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে পারেননি।
প্রতিবছর দেশটির রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার মার্তিম মুনিজ পার্কের উন্মুক্ত পরিবেশে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। তবে এবার আয়োজনের অনুমতি পাওয়া যায়নি।
রাজধানী লিসবনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন বায়তুল মোকাররম ইসলামিক সেন্টার জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চারটি জামাত হওয়ার কথা থাকলেও ভিড়ের কারণে জামাত সংখ্যা বেড়েছে।
বাইতুল মুকাররম ইসলামিক সেন্টার জামে মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাইদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিবছর খোলা আকাশের নিচে আমরা আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়ি। এত সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে এ বছর মসজিদে নামাজ আদায় করা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানুষের আবেগকে প্রাধান্য দিয়েছি এবং সবার জন্য ঈদুল আযহার জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
একইভাবে মার্তিম মুনিজ জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ঈদের চারটি জামাত হওয়ার কথা থাকলেও এর চেয়ে বেশিসংখ্যক জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৫০ এবং সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে দুটি ও কাসকাইসে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে একটি জামাত হয়েছে।
পোর্তো বাংলাদেশ কমিউনিটি দ্বারা পরিচালিত হজরত হামজা (রা.) মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট এবং সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে পৃথক দুটি এছাড়া কেন্দ্রীয় হযরত বেলাল (র.) মসজিদে সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামাজ শেষে প্রবাসীরা জানান, খোলা আকাশের নিচে জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করার একটা ভিন্ন আমেজ আছে। কিন্তু এ বছর তারা এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে মসজিদের অভ্যন্তরে হলেও ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে তারা পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রকাশ করেন।
আগের ঈদগুলোতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চলে ঈদের জামাত শেষে মানুষের ভিড় লেগে থাকলেও এবার কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। নামাজ শেষ করে সবাই যার যার গন্তব্যে চলে যান। তাই জমেনি কোনো আড্ডা। সবার মধ্যে করোনা সংক্রমণের একটা আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
ঈদের জামাত উপলক্ষে প্রতিটি মসজিদে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছিল। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য দোয়া কামনাসহ করোনা মহামারি থেকে মুক্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরএইচ