অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধী মিছিল

‘মাস্ক খোল, আওয়াজ তুল’, ‘চাই না আর লকডাউন, জেগে ওঠো অস্ট্রেলিয়া’ স্লোগানে উত্তাল সিডনির রাজপথ। শুধু সিডনি নয় মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, এডিলেড শহরেও লকডাউনবিরোধী মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সিডনিতে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে উত্তেজনা দেখা দেয়। এমনকি বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
দীর্ঘ দিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা তিন সংখ্যার ঘরে।করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার লকডাউনসহ সব বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে বিরক্ত হয়ে রাস্তায় নেমেছেন দেশটির নাগরিকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৪ জুলাই) কয়েক হাজার মানুষ লকডাউনবিরোধী মিছিল নিয়ে সিডনির হে-মার্কেটের মধ্য দিয়ে শহরের কেন্দ্রের দিকে যাত্রা করে।
এনএসডব্লিউ পুলিশমন্ত্রী ডেভিড এলিয়ট বলেন, সিডনিতে আজ (শনিবার) লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ৫৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত অন্যদের শনাক্ত করতে একটি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য আদেশ লঙ্ঘনের জন্য বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ৯০টিরও বেশি নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এলিয়ট বলেন, আজ যারা লকডাউনবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছিল তারা মনে করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে না।
এক বিবৃতিতে এনএসডব্লিউ প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান লকডাউনবিরোধী এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের স্বার্থপর বলে আখ্যায়িত করেন। একইসঙ্গে এ মিছিলের কারণে অসন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে এডিলেড ও মেলবোর্নেও লকডাউনবিরোধী আন্দোলন হয়েছে। মেলবোর্ন সংসদ ভবনের বাইরে মাস্ক ছাড়া প্রায় ১ হাজার মানুষ জড়ো হন। এছাড়া ব্রিসবেনে বোটানিক গার্ডেনে প্রায় ১৫০০ লোক জড়ো হয়ে লকডাউনের অবসান চান।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭০০ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১৬ জন।
এসকেডি