কানাডায় সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় টিকাদান চলছে

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু নীতিমালা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদান কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
তিনি জানান, জানুয়ারির মধ্যে কানাডায় ১০ লাখ ডোজ টিকা আসবে। প্রত্যেকে দুটি করে পাঁচ লাখ নাগরিক জানুয়ারির মধ্যেই টিকা পাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কানাডার সব প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করা হবে।
অন্যদিকে ২১ জানুয়ারির মধ্যেই টরন্টো, পিল, ইয়র্ক, উইন্ডসর ও এসেক্স সিটিতে অবস্থিত দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রমের সকলেই টিকা পাচ্ছেন বলে অন্টারিও সরকার জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে এসব স্থানের দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রমে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার করোনা টিকাদান শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, হট স্পট বিবেচনায় নতুন বছরের প্রথম তিন সপ্তাহে সেখানকার সব বাসিন্দা ও কর্মচারীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কতজন টিকা পাচ্ছেন সে সংখ্যাটি সরকারি ভাষ্যে সঠিকভাবে জানানো না হলেও প্রদেশের টিকাদান বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের প্রধান রিক হিলিয়ার বলেছেন, ৫৫ হাজার ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও এক হাজার ডোজ টিকা দীর্ঘমেয়াদি সেবাশ্রমে প্রদানের কথা, যা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৬টি সেবাশ্রমে দেয়া হয়েছে। এক্ষত্রে মর্ডানা টিকা দুটির ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৩ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ হাজার ২৩৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৭ জন।
অন্যদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা ও কুইবেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চাপ পড়ছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
দেশটির সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ে কিভাবে নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা যায় তার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করছে।
ওএফ