ভিয়েতনামে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’- প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস।
দিবসটি উপলক্ষে দোয়া ও প্রার্থনা, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণসভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পরিবারের অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়চেতা। তিনি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম কাণ্ডারি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও প্রধান প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী। তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন আদর্শ বাঙালি নারী প্রতিকৃতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আলোচনা শেষে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে কেক কাটা হয়।
আরএইচ