কানাডায় নাইন ইলেভেন নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা

কানাডার ক্যালগেরিতে আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’র আয়োজনে প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় ‘নাইন ইলেভেনের শিক্ষা : উগ্রবাদ দমনে বিশ্ব সম্প্রদায় কতটা সফল?’ শিরোনামে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ও মূল বক্তা ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান।
আলোচনায় অংশ নেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ কাদির, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী আবদুল্লা রফিক এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, কলামিস্ট, শিল্পী, ও যুক্তরাষ্ট্রের উদীচীর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জীবন বিশ্বাস।
বক্তারা আলোচনায় বলেন, ৯/১১ এর ২০ বছর অতিক্রান্ত হলেও সন্ত্রাস এখনো বন্ধ হয়নি। বাংলাদেশসহ বিশ্বে সন্ত্রাসীরা এখনো তৎপর। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রবাসী সাংবাদিক ও নতুনদেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে সেদিনের মতো সমন্বিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তীতে আর দেখা যায়নি। ৯/১১ এর জেরে বদলেছে বিশ্ব আর বৈশ্বিক রাজনীতি। বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বিভাজন শুরু হয়ে ৯/১১ এর মাধ্যমে। ৯/১১ এরপর পশ্চিমা দেশগুলোতে উগ্রবাদী চেতনা তৈরি হয়েছে। সন্ত্রাস এখন কেবলমাত্র একটা দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি।
কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, ৯/১১ ছিল প্রগতি আর মানবতার বিরুদ্ধে উগ্রপন্থার চরম আস্ফালন। এর সঙ্গে জড়িত ছিল এক ধরনের চরমপন্থার ভ্রান্ত বিশ্বাস। এই বিশ্বাস আর চরমপন্থাকে মোকাবিলায় গত ২০ বছরে বিশ্ব মোড়লরা কাড়ি কাড়ি ডলার খরচ করেছে। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে চরম পন্থাকে মোকাবিলার যে কৌশল প্রয়োগ করেছে, মানবিক সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে এর ফলাফল নিতান্তই সামান্য। চেতনা আর বিশ্বাসকে শক্তি প্রয়োগ করে কখনো নির্মূল করা যায় না। শুধুমাত্র একটি ধর্ম বিশ্বাসকে দায়ী করে শক্তি প্রয়োগের কৌশল প্রতিহিংসারই বিস্তৃতি ঘটাবে। মানবিক সমাজব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বিশ্ব মোড়লদের ঐকান্তিক আন্তরিকতা।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ কাদির বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। মানবিক বিপর্যয়। ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করার জঘন্যতম ঘটনা যা ক্ষমার অযোগ্য।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী আবদুল্লা রফিক বলেন, ৯/১১ এরপর বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা থেমে থেমে হুঙ্কার দিয়ে উঠেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য বিশ্ব এখন একত্রিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও এখন সন্ত্রাসীদের বিষয়ে ‘জিরো’ টলারেন্স দেখাচ্ছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে ৯/১১ এর মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা আর দেখা যাবে না।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, কলামিস্ট, শিল্পী, ও যুক্তরাষ্ট্রের উদীচীর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জীবন বিশ্বাস বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। ওদের নির্মূলে সোচ্চার হতে হবে। আর তার জন্য সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে নতুন প্রজন্মকে একটি নতুন পৃথিবী উপহার দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। আমরা আর কোনো ৯/১১ দেখতে চাই না।
ওএফ