চিপের ঘাটতির মাশুল গুণতে হবে ২১০ বিলিয়ন ডলার

বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর চিপস সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে বৈশ্বিক অটো শিল্পকে চলতি বছর ২১০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারাতে হবে বলে ধারণা করছে আমেরিকান পরামর্শক সংস্থা অ্যালিক্স পার্টনার্স (এলএলপি)। গত মে মাসে এক পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা ১১০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এবার তা ৯১ শতাংশ বেশি।
মেট্রো ডেট্রয়েট ভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক সংস্থা এখন আশা করছে, এ বছর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন যানবাহনের উৎপাদন কমবে।এদিকে গাড়ি প্রস্তুতকারীরা সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অনেকে। এখনও উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন প্লান্টে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এশিয়ান দেশগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব এবং লকডাউন সমস্যাটিকে দীর্ঘায়িত করেছে।
চিপের অভাবের সর্বশেষ ক্ষতিগ্রস্তরা হলো- স্টেলান্টিস এনভি প্লান্ট যা ভারী শুল্ক রাম পিকআপ ট্রাক, জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি এবং ডজসহ ইত্যাদি। আগামী সপ্তাহে এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সের চাহিদা গাড়িতে ব্যবহৃত মাইক্রোচিপের অভাবকে আরও খারাপ করেছে। বিশ্বব্যাপী অটো কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এবং গাড়ির দাম বাড়িয়েছে। অটোমেকাররা তাদের সবচেয়ে লাভজনক যানবাহনকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বলছে যে সাপ্লাই চেইনের গভীর চিপ উৎপাদনের বিষয়ে তাদের অন্তর্দৃষ্টি নেই।
অ্যালিক্স অংশীদাররা আগের তিন মাসে উৎপাদনের প্রভাব কম দেখবে বলে আশা করেছিল। কিন্তু এখন ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এটি আশা করবে না। অ্যালিক্স পার্টনার্সের স্বয়ংচালিত এবং শিল্প অনুশীলনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যান হিয়ার্স ব্যাখ্যা করেছেন, সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে বলে মনে হয় না। আমরা ভাবিনি যে এতো খারাপভাবে যাবে।
জেনারেল মোটরস কোং প্রেসিডেন্ট মার্ক রিউস এই সপ্তাহে ডেট্রয়েট রিজিওনাল চেম্বারের ম্যাকিনাক পলিসি কনফারেন্সে বলেছেন, চিপ সরবরাহ এমন জায়গা থেকে আসছে যেখানে করোনার টিকার প্রয়োগ কম। তাই সেখানে কিছুটা অস্থিরতা রয়েছে। আমাদের সত্যিই বিষয়টি নিয়ে খুব কঠোর পরিশ্রম করছি।
এমএইচএস