সিউলে বিজয় দিবস উদযাপন

সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে বিকেলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয়। তারপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি মুক্ত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে তিনি জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনার পর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে ঢাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আলোচনা পর্ব শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বের পর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
আইএসএইচ