অগ্নিকাণ্ডের সময় যা করতে বলেছেন নবীজি
অগ্নিকাণ্ড, বিপদাপদ স্বাভাবিক ঘটনা। তবে অগ্নিকাণ্ড বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রথম আলামত হলো পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে মানুষকে একত্রকারী আগুন। (বুখারি: ৫৪৪৭)
এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কেয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত হিজাজের জমিন থেকে এমন আগুন বের হবে না, যা বসরার উটগুলোর গর্দান আলোকিত করে দেবে।’ (বুখারি: ১০৫৪)
বর্তমানে যেসব অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে তা আল্লাহর রাসুলের কেয়ামত সংশ্লিষ্ট ভবিষ্যতবাণীর অংশ কিনা এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সর্বাধিক অবগত।
তবে যেকোনও ধরণের অগ্নিকাণ্ডের সময় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমলের নির্দেশ দিয়েছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কারণ তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি, হাদিস নং: ১/৩০৭)
তাকবির হলো- اللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। এর অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত প্রলয়ঙ্করী হোক; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)
পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত রয়েছে, যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়বে এবং আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে যাবে। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন,
আরবি :
قُلۡ نَا یٰنَارُ کُوۡنِیۡ بَرۡدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ
বাংলা উচ্চারণ : কুল ইয়া না-রু কু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।
অর্থ : ‘হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৬৯)
এনটি