সুন্নত নামাজেরও কি কসর করতে হয়?

মুসাফির ব্যক্তির জন্য ভ্রমণ ও সফরের সময় কসর নামাজের বিধান দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, তিনি চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত আদায় করতে পারবেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায়— কোনো আপত্তি নেই। (সূরা নিসা, আয়াত: ১০১)
কসর নামাজ পড়তে হয় শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির হলে। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির বলা হয়— কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে— নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই সে মুসাফির হয়ে যায়।
মুসাফির ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম হলো- তিনি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। আর এইভাবে সংক্ষেপে নামাজ পড়ার ভেতর আল্লাহ তায়ালা কল্যাণ রেখেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের নবীর মুখে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮৭)
আরও পড়ুন
কোরআন ও হাদিসের এই নিয়মের আলোকে একজন মুসাফির ব্যক্তি জোহর, আসর ও এশার চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত আদায় করবেন।
আর একজন মুসাফির ব্যক্তির জন্য সফরে চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাযই কেবল কসর করতে হয়। সুন্নত বা অন্য কোনো নামাজের কসরের বিধান নেই।
তবে সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজ সফর অবস্থায় মুআক্কাদা থাকে না। তাছাড়া তাড়াহুড়া ও অধিক ক্লান্তির সময় সুন্নত না পড়ার সুযোগ আছে।
বিশেষত সুন্নত আদায়ের কারণে গাড়ি ফেল করা বা অন্য কোনো সমস্যায় পড়ার আশংকা থাকলে অথবা অপেক্ষায় থাকা কোনো ব্যক্তি বা সফরসঙ্গীর কষ্ট হলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়াই কর্তব্য। অবশ্য সফরে ঝামেলামুক্ত ও সুস্থ থাকলে সুন্নত পড়ে নেওয়া উত্তম।