হজের সময় পাথর নিক্ষেপে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কি জরুরি?

পবিত্র হজের অন্যতম ওয়াজিব বিধান হলো জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা। শয়তানকে উদ্দেশ করে হজযাত্রীরা তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। যদিও এই তিনটি স্থানে শয়তান বিদ্যমান নেই, কিন্তু হজযাত্রীদের কঙ্কর নিক্ষেপণ দেখে শয়তান অপমানে জ্বলতে থাকে।
এ ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বাইতুল্লাহ্র তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার মধ্যে সায়ি এবং জামারাতে পাথর নিক্ষেপের বিধান আল্লাহ তাআলার জিকির কায়েমের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯০২)
১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়—১. জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা) ২. জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং ৩. জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)
জামারাতুল আকাবা মক্কার দিকে মসজিদুল খাইফের সর্ব নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত। একে জামারাতুল উখরা ও কুবরাও বলা হয়। ১০ জিলহজ এখানে তাকবির বলতে বলতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতে হয়। কাবাঘর বাঁ দিকে ও মিনা ডান দিকে রেখে দাঁড়ানো সুন্নত। অন্য দুই জামারায় এদিন কঙ্কর নিক্ষেপ করতে নেই।
আরও পড়ুন
১১ তারিখে তিন জামারায় (প্রথমে ছোট, এরপর মধ্যম এবং সব শেষে বড় জামারায়) ৭–৩=২১টি পাথর মারতে হয়। ১২ তারিখেও অনুরূপ তিন শয়তানকে ২১টি পাথর মারতে হয়। তিন দিনে সর্বমোট ৭+২১+২১=৪৯টি কঙ্কর মারতে হয়।
হজের সময় জামরাগুলোতে পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কারণ রাসূল (সা.) ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন।
কেউ যদি ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে তাহলে তার রমী (পাথর নিক্ষেপ) আদায় হয়ে যাবে। তবে তা মাকরূহ হবে। কিন্তু এই কারণে তার উপর কোনো দম বা জরিমানা আবশ্যক হবে না।
আলমুনতাকা ৩/৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩২৭