হজের সময় মসজিদে নববীতে যেভাবে সময় কাটাবেন

শুরু হয়েছে চলতি বছরের হজ সিজন। হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেতে শুরু করেছেন হজযাত্রীরা। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ৮ জিলহজ। এর আগে অনেকেই মদিনায় মসজিদে নববী জিয়ারতে যাচ্ছেন। কারো ফ্লাইট জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে অবতরণ করছে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
হজ শুরুর আগেই তারা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা জিয়ারত করছেন এবং মসজিদে নববীতে ইবাদতে সময় কাটাচ্ছেন। হজ মৌসুমে মসজিদে নববীতে আগতদের মুহূর্তগুলো মূলব্যান করতে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে হারামাইন শরিফাইন কর্তৃপক্ষ।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, মসজিদুল হারামে কাটানো আপনার সময়কে মূল্যবান করতে পারেন এভাবে—
- নামাজ এবং জিকিরে মগ্ন থাকুন।
- বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করুন।
- আলেমদের দরসে বসুন এবং সময় দিন।
- মসজিদে নববীর লাইব্রেরি থেকে উপকৃত হোন।
প্রসঙ্গত, মসজিদে নববীতে নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়। এখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্য মসজিদে ছয় মাস নামাজ পড়ার সমতুল্য।
আরও পড়ুন
বিখ্যাত সাহাবি হজরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।’-(বুখারি, হাদিস : ১১৯০; মুসলিম : ১৩৯৪)
হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববী) এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বাইতুল মাকদাসে এক নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’-(মাজমাউয যাওয়াইদ : ৪/১১)