সাদা চুল ও দাড়ি উঠানো নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

গোঁফ ছোট রাখা এবং দাড়ি লম্বা রাখা মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতীক। দাড়ি রাখা কোনো ফ্যাশন নয়, এটি ইবাদত। এটি মহানবী (সা.)-সহ অন্য সব নবী-রাসুলদের সুন্নত। সুন্নাহসম্মত দাড়ি কোনো ব্যক্তি মুসলিম হওয়ার অন্যতম নিদর্শন।
দাড়ি মুণ্ডন করা কিংবা কর্তন (যখন এক মুঠ থেকে কম) করা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দশটি কাজ প্রকৃতির অন্তর্গত, এর মধ্যে প্রথম দুইটি হচ্ছে- গোঁফ খাটো করা, দাড়ি বড় করা।’ (মুসলিম : ২/৫১১)
হাদিস-সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল (সা.) দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১/১২৯)
বিভিন্ন হাদিসে আদেশের শব্দগুলোও বর্ণিত হয়েছে। যেমন- আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা করো। দাড়ি বাড়াও ও মোচ কাট।’ (বুখারি, হাদিস : ২/৮৭৫)
বার্ধেক্যে অনেকের চুল দাড়ির রঙে পরিবর্তন আসে। এ সময় চুল-দাড়ি উঠাতে নিষেধ করেছেন রাসুল (সা.)।রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা শরীরের সাদা চুলগুলো উঠিয়ে ফেলো না। কারণ, কোন মুসলমানের চুল তার ইসলামী জীবন যাপনের মধ্য দিয়েই পেকে সাদা হয়ে গেলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য আলো হিসেবে উদ্ভাসিত হবে।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার প্রতিটি চুলের বিপরীতে আল্লাহ তায়ালা তাকে একটি করে সাওয়াব এবং তার গুনাহ সমূহ থেকে একটি করে গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪২০২)
এনটি