কক্সবাজারের ‘সাম্পানে’ ঠাই পাচ্ছে হকিও

সত্তর-আশির দশকে তো বটেই, নব্বইয়ের শুরুর দিকে জনপ্রিয়তায় ফুটবলের পরেই ছিল হকি এরপর ক্রিকেট। সময়ের বিবর্তনে এখন জনপ্রিয়তায় ক্রিকেট সবার ওপরে, এরপর ফুটবল; হকির অবস্থান তারও পরে। বাংলাদেশের হকি মূলত মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামকেন্দ্রিক।
আধুনিক হকি টার্ফ নির্ভর খেলা। ঢাকা ও বিকেএসপি ছাড়া অন্য জেলা শহরে হকির টার্ফ নেই। ফলে সেই অর্থে হকির চর্চাও কম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হকিকে গুরুত্ব দিয়েছে। কক্সবাজার শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে হকির জন্য আলাদা স্টেডিয়াম করার চেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।
আজ কক্সবাজারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কক্সবাজারে শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি হকি নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। জমি পাওয়া সাপেক্ষে আমরা হকির জন্যও স্টেডিয়াম করতে চাই।’ হকি স্টেডিয়ামের জমির জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
দেশে এই প্রথম ৩টি খেলার মাঠ ও ১টি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে তৈরি হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। এতে থাকবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম, শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও একটি হকি স্টেডিয়াম এবং একটি পূর্ণাঙ্গ প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। এছাড়াও ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিতে অন্যান্য খেলাধুলার সুযোগ থাকবে। এজন্য এটি যেন বহুমুখীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে লক্ষ্যে প্রায় ৫০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক আধুনিক মানের এ ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি।
জমির বিষয়টি এখনো সুনিশ্চিত না হলেও আশায় বুক বাধছেন হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ, ‘মন্ত্রী মহোদয় জেলা প্রশাসককে হকির জন্য জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি বলেছেন। কিছু জায়গা রয়েছে। আশা করি আমরা হকির জন্য টার্ফ সহ একটি ভালো মানের ভেন্যু পাব।’
দেশে এই প্রথম ৩টি খেলার মাঠ ও ১টি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে তৈরি হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। এতে থাকবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম, শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও একটি হকি স্টেডিয়াম এবং একটি পূর্ণাঙ্গ প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড।
এছাড়াও ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিতে অন্যান্য খেলাধুলার সুযোগ থাকবে। এজন্য এটি যেন বহুমুখীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে লক্ষ্যে প্রায় ৫০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক আধুনিক মানের এ ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি।
আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় কক্সবাজারের স্হানীয় একটি হোটেলে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। সেখানে যুব ও প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো এতো সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় এ ধরনের স্থাপনা আমরা করতে যাচ্ছি। এটি পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং আগ্রহের কারণে সম্ভব হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে আধুনিকভাবে ফুটবল স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম হচ্ছে। এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনাও আমরা হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় রামুতে বিকেএসপিও করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামকেও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। একই সাথে নান্দনিক ইনডোর স্টেডিয়ামও নির্মাণ করা হচ্ছে।’
পশ্চিম দিকে ঝাউবন বেষ্টিত সমুদ্রের দিগন্ত জুড়ে এটি তৈরি হচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে প্রাকৃতিক স্থাপনার সাথে খাপ খাইয়ে স্টেডিয়ামের ধারণাটি ‘সাম্পান’ নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এটি দেখলে মনে হবে- নান্দনিকভাবে সাগরে ৩টি সাম্পান ভাসছে। প্রস্তাবিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অবস্থান কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ হাজার ৫০০ ফুট দূরে। লাবণী বিচ সড়কে অবস্থিত এই কমপ্লেক্স।
এই কমপ্লেক্সে ক্রিকেটে ১৫ হাজার, ফুটবলে ১৫ হাজার এবং হকিতে ৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম হবে। প্রতিমন্ত্রীর প্রত্যাশা, ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সের দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পরিচিতি লাভ করবে। আশা রাখছি বিদেশের খেলাও এই ভেন্যুতে চলবে। পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়, সেভাবে সবকিছু বিবেচনা করে এই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স হবে।’
এজেড/এনইউ