মারুফের প্রথম হার, বারিধারার কাছে হার রাসেলের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মুন্সিগঞ্জে আজ এই দুই দলের ম্যাচে কোচ মারুফুল হকের দল এবারের লিগে প্রথমবারের মতো হারের তেতো স্বাদ গ্রহণ করে। ২-১ গোলে জিতে শেখ জামাল লিগের একমাত্র দল হিসেবে এখনো অপরাজিত। শেখ জামাল ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।
একই সময়ে দিনের অন্য ম্যাচে গোপালগঞ্জে উত্তর বারিধারা ৩-২ গোলে অন্যতম শক্তিশালী দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারায়। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র বড় বাজেটের দল গড়েও এবারের মৌসুমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। আজকের এই হারে পয়েন্ট টেবিলে নবম স্থানে নেমেছে দলটি। সাত ম্যাচে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট অল ব্লুজদের। রাসেলের চেয়ে অনেক দুর্বল দল হয়েও বারিধারা সাত পয়েন্ট নিয়ে তাদের উপরে।
মুন্সিগঞ্জে শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচটি উপভোগ্যই ছিল। শেখ জামালের হয়ে দু’টি গোল করেন তাদের গাম্বিয়ান অধিনায়ক সলোমন। ২৯ মিনিটে প্রথম গোলটি তো ছিল দুর্দান্ত। বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ জোরালো শটে জামালকে লিড এনে দেন।
৬৮ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটিতে সলোমন ভালো ফিনিশিং করলেও এতে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের ভুল রয়েছে। গোলরক্ষক সাধারণ একটি বল ভালোমতো গ্রিপে নিতে পারেননি। গোলরক্ষকের হাত ফসকে যাওয়ার পর সামনে থাকা ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। চৌকস ফরোয়ার্ড সলোমন বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় মারুফের চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সের মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলারকে ফাউল করলে রেফারি মিজান পেনাল্টির বাঁশি বাজান। চট্টগ্রাম আবাহনীর আফগান ফুটবলার অমিতের নেয়া শট পোস্টের উপর দিয়ে যায়। ৮৩ মিনিটে থ্যাঙ্কগডের বাড়ানো বলে বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করেন পিটার। ডিফেন্ডার সঙ্গে থাকলেও তিনি ঘুরে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান।
ইনজুরি সময় ছয় মিনিট দেয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল। কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোল আদায় করতে পারেনি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর কোচ মারুফকে ম্যাচ কমিশনার ও চতুর্থ রেফারির সঙ্গে খানিকটা উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা যায়।
গোপালগঞ্জে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ১১ মিনিটের মধ্যে দুই গোলের লিড নেয়। ৩৯ মিনিটে এক গোল করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিক উত্তর বারিধারা। পরের মিনিটে সুজন বিশ্বাসের গোলে ম্যাচে সমতা আসে। নির্ধারিত সময় শেষে ইনজুরি মিনিটে এই সুজনের গোলে বারিধারা পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এজেড