সাইফ-আবাহনী ম্যাচে সেই কলিন্দ্রেস ও পেনাল্টি

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে টানা হারের সম্মুখীন হয়েছিল স্বাগতিক ঢাকা আবাহনী। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস পেনাল্টি থেকে গোল করে আবাহনীকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন। ফেডারেশন কাপের পর আবার সাইফ স্পোর্টিং আবাহনীর কাছে হারল।
নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ স্কোরলাইন। চতুর্থ রেফারি তিন মিনিট ইনজুরি সময় দেখান। ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ভুল পাসে আবাহনী কাউন্টার অ্যাটাকে আসে। সেই কাউন্টার অ্যাটাকে কলিন্দ্রেসের ক্রস করা এক বল সাইফের ডিফেন্ডার ফ্রি থেকে ক্লিয়ার করতে পারেননি।
আবাহনীর ফরোয়ার্ড সতীর্থ কলিন্দ্রেসের উদ্দেশে বল ঠেলেন বক্সের মধ্যে। কলিন্দ্রেসকে বাধা দিতে গিয়ে বক্সের মধ্যে পড়ে যান সাইফ ডিফেন্ডার। বল ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে রেফারি জালাল পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সাইফের ফুটবলাররা এতে অবশ্য কোনো প্রতিবাদ করেনি। কলিন্দ্রেস পেনাল্টি থেকে গোল করে আবাহনীকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন।
ফেডারেশন কাপে সাইফ-আবাহনী ম্যাচে পেনাল্টি নিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছিল। সেই সেমিফাইনাল ম্যাচে সাইফের বাইসেঙ্গের পেনাল্টি বাতিল করেছিল রেফারি সায়মুন সানি। ইনজুরি সময়ে কলিন্দ্রেস গোল করে স্কোরলাইন ২-২ সমতা এনে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়েছিলেন। আজকের লিগের ম্যাচেও সাইফের বিপক্ষে গোল করলেন কলিন্দ্রেস।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ৬৯ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে নাইজেরিয়ান এমেরি বাইসেঙ্গে হেডে গোল করেন। আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসেও বলের লাগাল নিতে পারেননি। ছয় মিনিট পরেই আবাহনী ম্যাচে সমতা আনে। ব্রাজিলিয়ান ডোরিয়েল্টন সমতাসূচক গোলটি করেন।
সাইফ স্পোর্টিংয়ের আগের ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ রেফারি। আজকের ম্যাচে ছিলেন অভিজ্ঞ রেফারি জালাল উদ্দিন। সহকারী ছিলেন নাহিদ, যিনি শেখ রাসেল-সাইফের ম্যাচেও ছিলেন। আজকের ম্যাচে একটি পেনাল্টি ও গোল বাতিল হলেও দুই দলের খেলোয়াড়রা শান্ত আচরণই প্রদর্শন করেছেন।
এজেড