শেখ রাসেল থেকে বরখাস্ত টিটু, ভারপ্রাপ্ত কোচ মিন্টু

ঘরোয়া ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেটের দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। আট ম্যাচে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট এই দলের। আজ (রোববার) ক্লাবটির ফুটবল স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় দলটির হেড কোচ সাইফুল বারী টিটু ও ম্যানেজার ওয়াসিম ইকবালকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ক্লাবটির পরিচালক ক্রীড়া সালেহ জামান সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের দলটি ভালো। এরপরও ফলাফল নেই। সেই ব্যর্থতার দায়ে কোচ ও ম্যানেজারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কোচ সাইফুল বারী টিটুকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হলেও তার সহকারী জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুকে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা ক্লাবটির, ‘মিন্টু ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করবেন। আগামীকাল আমাদের ক্লাবের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সভা রয়েছে। নতুন কোচ না আসা পর্যন্ত মিন্টুই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। ম্যানেজার হিসেবে হাবিবুর রহমান মান্নুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
দেশের এক সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ওয়াসিম ইকবাল কখনো ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেননি। শেখ রাসেলে তার পথচলা ভালো হলো না। বাংলাদেশের ফুটবলের প্রেক্ষাপটে দল খারাপ করার পেছনে ম্যানেজারের তেমন ভূমিকা থাকে না। ম্যানেজারকে বাদ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জামান বলেন, ‘তিনি ক্লাবে তেমন সময় দিতেন না। সময় না দেয়ার জন্যই তাকে আমরা বিদায় জানাচ্ছি।’
ক্লাবের সিদ্ধান্তকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন ওয়াসিম ইকবাল, ‘তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। তাছাড়া তারা যেভাবে চেয়েছিল, রাতে ক্লাবে থাকা বা সময় দেওয়া। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, এটা জানিয়ে দিয়েছিলাম।’ সাইফুল বারী টিটুর প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এখন রেলিগেশন জোনে। ১২ দলের মধ্যে ১১ নম্বরে। এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য দ্বিতীয় লেগকে পাখির চোখ করেছেন শেখ রাসেলের কর্মকর্তারা, ‘দ্বিতীয় লেগে অত্যন্ত ভালো মানের বিদেশি আনব। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে যোগাযোগ চলছে।’
ভালো মানের বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গে এই সংকট কাটাতে অভিজ্ঞ ও ভালো কোচও প্রয়োজন। বিদেশি কোচ আনতে ও পরিস্থিতি বুঝতে সময় লাগবে। শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষ দেশি কোচ আনবে নাকি বিদেশি কোচ আনবে তা জানা যেতে পারে আগামীকাল। দেশি কোচে ভরসা রাখলে এখন প্রিমিয়ার লিগের বাইরে থাকা অভিজ্ঞ শফিকুল ইসলাম মানিক ছাড়া যোগ্য বিকল্প আর তেমন নেই অথবা মিন্টুর ওপরই ভরসা রাখতে হবে।
এজেড/এমএইচ