রুট-অ্যান্ডারসনের জয়জয়কার, কোহলির অনাকাঙ্ক্ষিত চার

মধ্যাহ্ন বিরতির একটু আগে জেমস অ্যান্ডারসনের ছোট্ট একটা স্পেল। তাতেই দিশেহারা ভারত। শেষমেশ টেস্টটা আর ড্র করা হয়নি বিরাট কোহলিদের, হেরেই বসেছেন। তাতে জো রুট আর অ্যান্ডারসনের পরিসংখ্যানটা যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে, কোহলিরা পড়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ‘কীর্তির’ সামনে।
৪ চিপকে ইংল্যান্ডের জয়টা শেষ দশ বছরে ভারতের মাটিতে সফরকারী দলের মাত্র চতুর্থ জয়। এই চারবারের তিনবারই ভারত হেরেছে ইংল্যান্ডের কাছে, আগের দুই হার এসেছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে। আর শেষটা এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ২০১৭ সালে সে ম্যাচে ৩৩৩ রানে হেরেছিলেন কোহলিরা।
৬ ভারতের বিপক্ষে জয়টি এশিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের টানা ষষ্ঠ জয়। আগের পাঁচটিই অবশ্য এসেছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ মৌসুমে ৩-০ ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের সামনে এখন অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত উপমহাদেশে টানা সাতটি টেস্ট জিতেছিল অজিরা। এ দুটো বাদে উপমহাদেশে টানা তিন জয়ের নজিরই আছে কেবল আর দুটো!
২ এশিয়ায় অধিনায়ক জো রুটের জয়সংখ্যা ছয়। এ মহাদেশে সফরকারী অধিনায়কের এর চেয়ে বেশি জয়ের নজির আছে আর দুটো। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ এখানে ২১টি টেস্ট খেলে তুলে নিয়েছিলেন ৮টি জয়, আর সর্বজয়ী উইন্ডিজ দল নিয়ে ১৭ ম্যাচ খেলে ৭টি জয় তুলে নিয়েছিলেন ক্লাইভ লয়েড।
২৬ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে রুট জিতলেন তার ২৬তম টেস্ট, ভাগ বসিয়েছেন মাইকেল ভনের সবচেয়ে বেশি টেস্ট জয়ের ইংলিশ রেকর্ডে। ভনের চেয়ে অবশ্য চারটা ম্যাচ কম খেলেছেন রুট। তবে আরেকটা জায়গায় ভনকে ছাড়িয়ে গেছেন রুট। প্রতিপক্ষের মাটিতে এখন তার জয় ১০টি, যেখানে রুটের সমান ২২টি টেস্ট খেলে ভনের জয় ৯টি।
৪ বিরাট কোহলির অধীনে টানা চার টেস্টে হারল ভারত। ২০১৯-২০ নিউজিল্যান্ড সফরে দুটো, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট আর আজ এই চেন্নাইতে। কোহলির অধীনে টানা এত টেস্ট আর কখনোই হারেনি ভারত। বরং ভারতের টানা টেস্ট জয়ের রেকর্ডটা এসেছে এই কোহলির আমলেই (৭)।
৮১ চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ১৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করে টেস্টের শেষ ইনিংসে উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন অ্যান্ডারসন। বর্তমানে চতুর্থ ইনিংসে তার উইকেটসংখ্যা ৮১টি। পেছনে ফেলেছেন স্টুয়ার্ট ব্রডের ৭৯ উইকেটের কীর্তিকে।
২২৭ চেন্নাইয়ে এই হার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কোহলিদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। আর সব মিলিয়ে এটি চতুর্থ বড় হার। ২০১১ সালে নটিংহ্যামে দলটি হেরেছিল ৩১৯ রানে, ২০১৪ সালে ২৬৬ রানে হারে সাউদাম্পটনে, আর ২৪৭ রানের হার এসেছিল ১৯৯০ সালে।
১ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পাঁচ উইকেট এতোদিন ভারতের জন্য পয়ামন্তই ছিল। এর আগের ২১ বার টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, ২০ বার শেষ হাসি হেসেছে দল, ড্র ছিল একবার; তবে কখনোই হারেনি দল। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটলো। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে ধ্বস নামিয়েছিলেন, তবে শেষমেশ চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে বসেছে তার দল।
এনইউ