বিশ্বকাপের আগেই বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড

করোনা মহামারির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ব্যস্ত সূচি দলগুলোর। বিশ্রামের ফুরসত নেই বাংলাদেশ দলেরও। একাধিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে চলতি বছরে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে। সেই বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। পাশাপাশি ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
২০১৭ সালের পর আর বাংলাদেশ সফর করেনি অস্ট্রেলিয়া। মাঝে ২ ম্যাচের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে বাংলাদেশের আসার কথা থাকলেও করোনা ঝুঁকির কারনে সেই সূচি স্থগিত হয়ে আছে। তবে চলতি বছরই টাইগারদের ডেরায় আসছে অজিরা। স্থগিত থাকা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে নয়, ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে।
২০২১ সালে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে ভারতে। উপমহাদেশীয় আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেই বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ এসে টাইগারদের সঙ্গে কুঁড়ি ওভারের ফরম্যাটে মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে এটি অস্ট্রেলিয়ার চাওয়াতে নয়, এফটিপিতে অনুযায়ীই এই সিরিজ মাঠে গড়াবে বলে জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো অপশন এক্সপ্লোর করছি। আপনারা জানেন যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যেহেতু ভারতে নির্ধারিত আছে অক্টোবরে, তার আগে আমরা চেষ্টা করছি। এটা আমাদের এফটিপিতেই আছে। কয়েকটি দেশের বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও আছে।’
গুঞ্জন আছে একই সময়ে বাংলাদেশ সফর করতে চাইছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলো। তেমনটা হলে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মূহুর্তে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের সম্ভাবনাও আছে কি? নিজামউদ্দিন সুজন জানালেন, ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। তবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড দল যে বাংলাদেশ সফর করবে, সেটি নিশ্চিত করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ সফর করবে। এভাবেই আমাদের পরিকল্পনা আছে। কোনও ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সিরিজের বিষয়ে কথাবার্তা পাকা হলেও এখনো সূচি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। পাশাপাশি এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরের বিষয়েও কথা বলেন তিনি, ‘কারও সাথে ওয়ানডে কারও সাথে টি-টোয়েন্টি। আমরা শিডিউল চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বলতে পারি না। আমরা দুই বোর্ড যখন তারিখ ও সময় চূড়ান্ত করবো তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারবো। এপ্রিলে একটা সময় আছে যেখানে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দলই এভেইলেবল আছে। এই সময়েই আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে দুইটা বা তিনটা টেস্ট ম্যাচ ছিল, সেটাকে ফিট করার চেষ্টা করছি।’
টিআইএস/এটি/এমএইচ