সালাউদ্দিনের আম্পায়ারিংয়ে পর্দা নামল জাবি ৫০ বল ক্রিকেটের

দেশের প্রতিষ্ঠিত কোচ ও সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে আজ দেখা গেল অন্য ভূমিকায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ৫০ বল ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন সালাউদ্দিন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রের সঙ্গে আম্পায়ারের প্রান্ত বদল করেছেন আন্তর্জাতিক সাবেক আম্পায়ার এনামুল হক মণি।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী না হলেও জাবিয়ান সম্প্রীতির উদাহরণ টানলেন একটি, ‘বেশ কয়েক বছর আগে একটি কাজে এক জেলায় গিয়েছিলাম। আমাদের সাবেক ক্রিকেটারের (দেব্রবত পাল) রেফারেন্সে অন্য জাবিয়ানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা যে পরিমাণ আন্তরিকতা দেখিয়েছিল এক কথায় অবিশ্বাস্য।’
জাবিয়ান আন্তরিকতা ও সম্প্রীতির এক অন্যতম নজির জাবি ৫০ বল ক্রিকেট। ক্যাম্পাস ছেড়ে দেয়ার তিন যুগ পার হয়েছে অনেকের। এরপরও এই ৫০ বলের টানে ছুটে এসেছেন লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল-কলেজের মাঠে। ব্যাচ ভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হলেও দিন শেষে এটি ছিল জাবিয়ান আড্ডা ও পুনর্মিলনী। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচ ভিত্তিক ১৪ টি দল অংশ নিয়েছিল। আজ বিকেলে শিরোপার লড়াইয়ে ছিল ৩৪ ও লিজেন্ডারি ৩১ ব্যাচের মধ্যে। শেষ হাসি লিজেন্ডারী ৩১ হাসলেও সেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল বিজিত ৩৪ সহ অংশগ্রহণকারী সকল দলের মধ্যেই।
অংশগ্রহণকারী ১৪ টি দল এবং অংশ নেয়া অনেকেই নানা ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন সেরার পুরস্কার। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন জাবির সাবেক ছাত্র। টুর্নামেন্টের আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করা হয়েছে আবার পৃষ্ঠপোষক ও অন্য ব্যাচের পক্ষ থেকে এমন অসাধারণ আয়োজনের জন্য সংগঠকরাও পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুরস্কারগুলো আদান-প্রদানের মুহূর্তে মঞ্চে ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনে জাহাঙ্গীরনগরের মুখ উজ্জ্বল করা অন্যতম দুই ব্যক্তিত্ব সানোয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তারা দু’জনও গ্রহণ করেছেন বিশেষ সম্মাননা।
আজকের ফাইনাল উপলক্ষ্যে এসেছিলেন জাবির সাবেক অনেক সিনিয়র ব্যক্তিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালক সিফাতুল্লাহ এই টুর্নামেন্টের আয়োজনকে মনে করছেন বিশেষ উচ্চতার, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রকম একটি উদ্যোগ প্রত্যাশা ছিল। প্রশাসন যা করতে পারেনি, সেটা সাবেক শিক্ষার্থীরা করে দেখিয়েছে যা জাহাঙ্গীরনগর তো বটেই যা অন্য যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।’
আরেফিন জোসী, শিপন, মাসুমের মতো একদল তরুণ উদ্যমীদের মাধ্যমেই এই টুর্নামেন্ট পরিচালিত হয়েছে। যাদের সঙ্গে সব সময় সমন্বয়ক ও অভিভাবক হিসেবে ছিলেন তাদেরও সিনিয়র অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নওশাদ মুস্তফা জয়ীত। আগামীতেও এই টুর্নামেন্ট আরো বড় কলেবরে করার পরিকল্পনা করছেন তারা।
এজেড/এনইউ