রাজিন-তুষারের ব্যাটে ঝড়, শান্তর-রবিনের পাঁচ উইকেট

এম এ রবিনের করা হাই ফুলটস বলটি নো কল করলেন ফিল্ড আম্পায়ার, ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ বুকের দিকে তেড়ে আসা বলটি কাট করে দিলেন, বল গেল থার্ডম্যান অঞ্চলে। নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ১ রানের জন্য দৌড় শুরু করলেন, কিন্তু হাতের ইশারায় তাকে থামিয়ে দিলেন আফতাব। আগের বলেই শাহরিয়ার নাফীস ক্যাচ আউট হয়েছেন। নতুন ব্যাটসম্যান ডিকেন্সকে উদ্দেশ্য করে প্রতিপক্ষ দলের আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘এসেই ফ্রি হিট খেলার কৌশল?’
মিরপুরে আজ (শনিবার) বসেছিল তারকাদের মিলনমেলা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাবেক ক্রিকেটাররা দুই দলে ভাগ হয়ে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন। বাংলাদেশ লাল দল আর বাংলাদেশ সবুজ দলের এই লড়াইয়ে যতটা না ক্রিকেট ছিল, তার থেকে ঢের ছিল ভ্রাতৃত্ব আর খুনসুটি। সচরাচর এভাবে সবার যে একসঙ্গে হওয়া হয় না। তবে মাঠের লড়াইয়েও কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। বন্ধু আর সাবেক সতীর্থদের বলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন রাজিন সালেহ, তুষার ইমরানরা। তেমনি বল হাতে প্রতিপক্ষকে তছনছ করেছেন হাসিবুল হোসেন শান্তরা।
মিরপুরে একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উদ্যোগে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর লাল দলের সঙ্গে পারেনি খালেদ মাসুদ পাইলটের নীল দল। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাড় করে লাল দল। ২৭০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৭ বল হাতে থাকতেই অল আউট সবুজ দল। ১৯৫ রানে থামে তাদের ইনিংস। এতে নান্নুর লাল দল ৭৪ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
লাল দলের হয়ে ১০টি ছয় ও ৩টি চারের মারে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন রাজিন সালেহ। তিনি খেলেন মাত্র ৩৭ বল। ৩৮ বলে ৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন কয়েকদিন আগে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখা তুষার ইমরান। এ ছাড়া হান্নান সরকার ২৭ ও এম এ রবিন করেন ৩২ রান। তবে ব্যাটিং করেননি নান্নু। সবুজ দলের হয়ে হাসিবুল হোসেন শান্ত একাই নেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার সৈয়দ রাসেল।
রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেও খেই হারিয়ে ফেলে সবুজ দল। নিয়মিত বিরতিতে দলটি উইকেট হারায় তারা। সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে জামাল বাবুর ব্যাট থেকে। ২০ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এ ছাড়া জাবেদ ওমর ও জাহাঙ্গীর আলম সমান ৩১ রান করে আউট হন। লাল দলের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন রবিন। সঙ্গে সানোয়ার হোসেন নেন ২ উইকেট।
টিআইএস