ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাল রাহীর বোলিং

শেষ দুই বছর ধরেই টেস্টে পেস বোলারদের গড়ে তোলার বুলি শুনিয়ে আসছে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন কই? দেশের মাটিতে এখনো অপাংক্তেয় পেস আক্রমণ। চট্টগ্রামে একমাত্র পেসার হিসেবে খেলেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত দ্বিতীয় টেস্টেও। তবে প্রথম ইনিংসে একমাত্র পেসার হিসেবে খেলা আবু জায়েদ রাহীর চার উইকেট উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে নির্বাচক-ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তকেও।
২০১৮ সালে উইন্ডিজ সফরে রাহীর অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১৯টি। এই সময়ে পেসারদের ভেতর সবচেয়ে বেশি দশটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই রাহীই । সেই তাকেই প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা ছাড়তে হয়েছিল মুস্তাফিজের কাছে। এক টেস্ট পরই মুস্তাফিজ জায়গা হারালেন আবার, ম্যানেজমেন্টের ‘এক পেসার’ খেলানোর মন্ত্রের বলি হয়ে। তার জায়গায় ফিরলেন রাহী।
তবে ফিরলেন দারুণ প্রতাপ নিয়েই। প্রথম দিনে তুলে নিয়েছিলেন আগের ম্যাচের নায়ক কাইল মেয়ার্স আর শেন মোসেলেকে। দ্বিতীয় দিনে তাইজুল-নাইমদের নির্বিষ বোলিংয়ের বিপরীতে তার বোলিংই কিছুটা আশা দেখিয়েছে বাংলাদেশকে। এর ফলও পেয়েছেন রাহী। ক্রমেই বিপদজনক হতে থাকা আলজারিকে থামান ব্যক্তিগত ৮২ রানে। উইন্ডিজের বড় সংগ্রহের আশাটাও কার্যত শেষ হয়েছে সেখানেই।
এরপর জোমেল ওয়ারিক্যানকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন। জাগিয়েছিলেন ২০১৩ সালের পর প্রথম বাংলাদেশী পেসার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকারের আশাও। উইন্ডিজের শেষ উইকেটটা তুলে নিতে পারলে ২০১০ সালের পর দেশের মাটিতে টেস্টে পাঁচ উইকেট শিকার করা প্রথম পেসারও বনে যেতেন রাহী। শেষ উইকেটটা তাইজুলের দখলে যাওয়ায় শেষমেশ সেটা আর হয়নি।
তবে তাতে ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠে গেছে বেশ। যদি আরও একজন পেসারকে সঙ্গী হিসেবে পেতেন রাহী, জুটি বেঁধে কি আরও অসুবিধায় ফেলতে পারতেন না উইন্ডিজকে? যদিও তিনি নিজে আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আরেক পেসারের অভাব বোধ হয়নি তার!
প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবু জায়েদ রাহী আরও জানিয়েছিলেন, উইন্ডিজকে রুখে দেওয়া উচিত ২৭০ থেকে ৩০০ রানের মধ্যে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বাকি বোলারদের খাপছাড়া বোলিংয়ে সে ‘উচিত’ কাজটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। উইন্ডিজ চারশ ছুঁয়েছে এরপর। ম্যাচের লাগামটাও হাতছাড়া হওয়ার যোগাড়।
তবে তার পিঠে রাহীর বোলিং আর সৌম্য সরকারের পার্ট-টাইম তুলছে প্রশ্ন। আরও একটা পেসার বাড়ালে দৃশ্যটা কি অন্যরকমও হতে পারতো?
এনইউ/এমএইচ/এটি