নিজেদের ভুল দেখছেন তামিম

এনক্রুমাহ বোনার তো বটেই, জশুয়া দা সিলভার পর উইন্ডিজ লোয়ার মিডল অর্ডারে যখন আলজারি জোসেফও ব্যাট করছিলেন, উইকেটের আচরণ ছিল খুবই ব্যাটিং বান্ধব। কিন্তু সেই একই জায়গায় বাংলাদেশ রীতিমতো ধুঁকছে, ভুগছে ফলো অনের শঙ্কাতেও! ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশ্য একে দেখছেন নিজেদের ভুল হিসেবেই।
দ্বিতীয় দিনে উইন্ডিজের ৪০৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১০৫ রান তুলতেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। প্রত্যেকটা উইকেটেই ব্যাটসম্যানদের ভুল ছিল দৃশ্যমান। ফুটওয়ার্কের অভাবে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের শিকার হন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর মুমিনুল উইকেট হারিয়েছেন রাকিম কর্নওয়ালের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে আড়ষ্টভাবে ব্যাট চালিয়ে। তামিমও দারুণভাবে থিতু হয়ে ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন উইকেট।
নিজেদের দোষটা মাথা পেতে নিলেন তামিম। বললেন, ‘প্রথমত উইকেট অসম্ভব ভালো ছিল। আমরা যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখনও অনেক ভাল ছিল। তেমন কিছু হচ্ছিল না উইকেটে। আমার কাছে মনে হয়, যে চারটা উইকেট পড়েছে, কোনোটা যে খুব ভালো বলে বা উইকেটের কারণে পড়েছে, তা নয়। চারটাই ব্যাটসম্যানদের ভুলে পড়েছে।’
চারটা উইকেট যে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছে সে ব্যাপারটা মেনে নিতেও দ্বিধা নেই। তামিমের কথা, ‘আজকে যদি আমাদের ২টা উইকেট কম পড়ত এবং এ রানটা থাকত, তাহলে আমাদের অবস্থান আরও ভালো হতো। যেহেতু ৪টা উইকেট পড়ে গেছে, তাই বলতেই হবে ওরা টপে।’
তবে বাংলাদেশ ওপেনারের বিশ্বাস, ম্যাচে ফেরা থেকে একটা বড় জুটির দূরত্বে আছে দল, ‘আমরা যদি কালকে বড় জুটি করতে পারি, ১০০-১৫০ রানের জুটি গড়তে পারি, তাহলে আবার ম্যাচে ফিরতে পারব।’
পঞ্চম উইকেটে বিশ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটি বাংলাদেশের আশাটা জিঁইয়ে রেখেছে এখনো। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের আস্থাও আছে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের এই জুটির ওপর, ‘উইকেট এখনো দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু নেই। আমাদের জন্য ইম্পরট্যান্ট থাকবে কালকে প্রথম সেশনটা। আমরা যেন উইকেট না হারাই। কারণ অলরেডি আমাদের ৪টা উইকেট পড়ে গেছে। খুব বেশি ব্যাটিং বাকি নেই। এ পার্টনারশিপের ওপরেই অনেক কিছু ডিপেন্ড করবে যে কেমন হবে ম্যাচটা। তাই এটাই আশা করতে পারি যে তাদের একটা ভালো পার্টনারশিপ হবে।’
এনইউ/এটি/এমএইচ