সাকিব-তামিম-মাশরাফিদের ম্যাচে নায়ক মুক্তার আলি

বিকেএসপিতে যেন তারার হাট বসেছিল আজ। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে মুখোমুখি হয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আর প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবে। রূপগঞ্জের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। চলতি মৌসুমে দলটির হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ডিপিএলের এবারের আসরের প্রথম ম্যাচ খেলেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
মাশরাফি, সাকিব, তামিম, এনামুল হক বিজয়দের এ ম্যাচে নায়ক অবশ্য মুক্তার আলি। শেষদিকে ৪৫ বলে হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস খেলে রূপগঞ্জকে ৩ উইকেটে জেতান এই অলরাউন্ডার। যদিও আজ বোলিং করেননি মুক্তার। এই জয়ে কল্যাণে শিরোপার আশা টিকে থাকলো রূপগঞ্জে। অন্যদিকে ৩ উইকেটে ম্যাচ হেরে শিরোপা থেকে একপ্রকার ছিটকে গেল প্রাইম ব্যাংক।
দুই দলের এই লড়াই শুরু হয় বেশ বিলম্বে। উইকেট ভেজা থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে এই ৩৩ ওভারের পুরোটা খেলা হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। ১০ বল আগেই গুটিয়ে যায় ১৫২ রানে। লক্ষ্য টপকাতে নেমে দ্রুত বেশকিছু উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ। অষ্টম উইকেটে তানবীর হায়দারের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ৭০ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জেতান মুক্তার।
১৫৩ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। সেখানে নিজের আউট মানতে পারেননি রকিবুল হাসান। রান আউটের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। সাব্বির রহমান ২৬ রান করে আউট হলে চাপ বাড়ে রূপগঞ্জ শিবিরে। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারালে দলের হাল ধরেন সাকিব। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনিও। সাকিব ফেরেন ২১ রানে।
এরপর দলীয় ৮৪ রানের মধ্যে চেরাগ জানি আর মাশরাফিকে হারায় রূপগঞ্জ। ৭ উইকেট হারানো দলটিকে টেনে তোলেন মুক্তার। অষ্টম উইকেটে তানবীরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ৭০ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রাইম ব্যাংককে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপগঞ্জ। আল-আমিন হোসেনকে ছয় দিয়ে রানের খাতার খুলেও সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার তামিম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ বলে ৮ রান করে।
শাহাদত হোসেন দিপু আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। এরপর প্রাইম ব্যাংক শিবিরে আঘাত হানেন মাশরাফি। পরপর নিজের দুই ওভারে ফেরান মুমিনুল (১৩) আর মিঠুনকে (৩)। সুবিধা করতে পারেননি নাসির হোসেনও। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন ৪ রান করে। তবে ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন এনামুল হক বিজয়। ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিজয় এদিন বাংলাশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন।
বিজয় পেছনে ফেলেন সাইফ হাসানকে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৬২.৬১ গড়ে রান করেছিলেন ৮১৪ সাইফ। বর্তমানে বিজয়ের নামের পাশে ৮৭৮ রান। এদিন মৌসুমের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নিয়ে বিজয় ফেরেন ৭৩ রানে। ৯১ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ১ চারের মারে।
সঙ্গে ইয়াসির আলির ৩৭ বলে ৩৯ রানের কল্যাণে অলআউট হওয়ার আগে ১৫২ রানে থামে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। সাকিব আর মাশরাফির মতো সমান দুই উইকেট নিয়েছেন চেরাগ জানি।
টিআইএস/এনইউ