ভয়কে জয় করে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন টিকা দিচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ৮ ফেব্রুয়ারিতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন। টিকা নেয়ার পর তিনি এখন পর্যন্ত সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি টিকা নেবেন। দেশের শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থার এই কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এই টিকা নেয়া উচিত। আমি ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন ও আনুষাঙ্গিক বিষয় সম্পন্ন করেছি। ১৭ ফেব্রুয়ারি টিকা নেয়ার জন্য প্রস্তুত।’ শাহেদ রেজা রাজধানী সিএমএইচ হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করবেন।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজার টিকা নিচ্ছেন আগামীকাল। সত্তর উর্ধ্ব এই ক্রীড়াবিদ এখনো সাহসী, ‘ক্রীড়াবিদরা মাঠে লড়াই করে। জীবনটাও একটা লড়াই। করোনা যুদ্ধে একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে করোনা টিকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ দৃঢ়কন্ঠে বলেন প্রতাপ শঙ্কর হাজার।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল আজ সচিবলায় মিডিয়া ক্লিনিকে টিকা নিয়েছেন। টিকা নিয়ে স্বাভাবিকই রয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগঠক, ‘ভয়ের কিছু নেই। খুব স্বাভাবিক ও সহজ উপায়ে টিকা দেয়া হচ্ছে’। তিন যুগের বেশি বাংলাদেশের ক্রিকেটর সঙ্গে রয়েছেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। তিনি গতকাল শনিবার টিকা নিয়েছেন। অন্য টিকার মতোই করোনার টিকা মনে করছেন ববি,‘ ছোটবেলা যেমন টিকা দিয়েছি প্রায় সে রকমই। কোনো ব্যথা নেই, তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’
সংগঠকদের পাশাপাশি ক্রীড়াবিদরাও টিকা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ইতোমধ্যে টিকা দিয়েছেন। লন্ডন ও রিও অলিম্পিক খেলা এই সাতারু বলেন, ‘আমাদের সংস্থা থেকে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাহস করে দিয়ে দিলাম। এখন পর্যন্ত ভালোই আছি।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ভ্যাকসিন বরাদ্দ চেয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার এই দুই শীর্ষ সংস্থা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রদান করবে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভ্যাকসিন দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এজেড/এটি/এনইউ