২০ বছরেও উন্নতি হয়নি: মুমিনুল

২০০০ থেকে ২০২১ সাল। টেস্ট ক্রিকেটে ২১ বছরের দীর্ঘ পথচলা বাংলাদেশ দলের। তবে অর্জনের খাতা খুব বেশি ভারি করত পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচ জয়ের সাংখ্যাও আঙুল গুনে বের করা যায়। প্রায় প্রতি সিরিজ শেষেই অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, আমাদের আরও শিখতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেও পরাজের গ্লানি নিয়ে একই কথা শোনালেন মুমিনুল হক।
উন্নতির চেষ্টা আর শেখা, এই দুয়ের মধ্যেই যেন আঁটকে আছে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ, ২০০৯ সালের ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে তুলনামূলক দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ জয়, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করা, শ্রীলঙ্কায় নিজেদের শততম টেস্ট ম্যাচে জয়ের স্বাদ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এর বাইরে কয়েকটি ম্যাচ জিতলেও উল্লেখ করার মতো তেমন কোন সাফল্য নেই বাংলাদেশের।
মাঝে অনেকগুলো সুযোগ আসলেও সেগুলি ঠিকঠাক কাজে লাগানো যায়নি। প্রতিবার হতাশায় শেষ হয় সিরিজ। উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, এখনো শিখছে তার দল।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসলেই ২০ বছর হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয় ওইভাবে কোনো উন্নতিই হয়নি। আর উন্নতির শেষ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুযোগ থাকে। আমরা যতদিন খেলব, যতদিন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব, ততদিন উন্নতি করতে হবে।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে পরাজয়ের কারণ জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় মুমিনুল বললেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। হয়তো আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ব্যাটিংয়ে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। সেখান থেকে আমরা ফিরতে পারিনি। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ইনিংস বলেন। চট্টগ্রাম টেস্টে আমরা খুবই ইতিবাচক ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা সেই রকম ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারিনি।’
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ হয়েছিল চট্টগ্রামে। সেখানে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর বোলিং করতে গিয়ে ঊরুর চোটে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর ফেরা হয়নি সাকিবের। ঢাকা টেস্টও খেলতে পারেননি তিনি। এই অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি দলের সমন্বয়ে ঘাটতি তৈরি করেছে বলে জানালেন টাইগারদের টেস্ট দলের অধিনায়ক।
মুমিনুলের ভাষায়, ‘আগেও বলেছি, সাকিব ভাই চলে যাওয়ায় আমাদের দলের সমন্বয় একটু ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। আমার একজন মিডিয়াম পেস যিনি ব্যাটিং করেন, এমন কাউকে দরকার ছিল। আর সৌম্য অভিজ্ঞও ছিল। সম্প্রতি ওয়ানডেও খেলেছে। কিন্তু আপনি যখন হারবেন তখন অবশ্যই চোখ পড়বে।’
টিআইএস/এনইউ