আবার আলোচনায় সাফ ক্লাব কাপ

২০০৯ সালে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার পর থেকে কাজী সালাউদ্দিন সাফ ক্লাব কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। সাফ অঞ্চলের দেশ সমূহের ভিন্ন সূচি,স্পন্সর সংকট সহ নানা কারণে এই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়েছে।
বাফুফের পর চতুর্থ মেয়াদে সাফ সভাপতি হওয়ার পথে সালাউদ্দিন। চতুর্থ মেয়াদে এই ক্লাব কাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন বলে আজ জানিয়েছেন তিনি, ‘আগামী জুনে সাফের সভা রয়েছে। সেই সভায় সাফ ক্লাব কাপ নিয়ে আলোচনা করব’। সাফের সভায় এ নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্লাব কাপ মাঠে গড়ায়নি। তবে এবার সফল করার জন্য উদ্যোগী সভাপতি, ‘জুনের এই সভা থেকে একটি ফলপ্রসূ দিক নির্দেশনা যেন আসে সেইভাবে আমরা কাজ করব’।
এএফসি পর্যায়ে ক্লাব ভিত্তিক টুর্নামেন্ট হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক হয়। তবে সাফ ক্লাব কাপ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের পরিবর্তে একটি কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে হওয়ার সম্ভাবনা। সেটা হলেও এই বছর তো নয়-ই, ২০২৪ এর আগে সম্ভব নয়। জুনে সাফের এজিএমে একটি মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান এক বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ আর পরের বছর সাফ ক্লাব কাপ, এমন একটি প্রস্তাবনা দেবে। সেই প্রস্তাবনা সাফ যাচাই বাছাই করে বাস্তবতা এবং উপযোগীতা নির্ধারণ করবে।
বাফুফে আয়োজিত ইফতার মাহফিলের আগে বাফুফে ও সাফ সভাপতি ক্লাব কাপ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ফুটবল ফেডারেশন ভবন প্রাঙ্গনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের অন্য ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো রোজার শুরু ও মাঝামাঝি সময় ইফতার আয়োজন করলেও বাফুফে করেছে একেবারে শেষ মুহূর্তে। ঈদের অতি সন্নিকটে হওয়ায় এই মাহফিলে বাফুফের সকল অংশীদাররা ছিলেন না। বিশেষ করে বাফুফে কর্তারা যাদের ভোটে নির্বাচিত সেই কাউন্সিলর/অধীভুক্ত সংস্থার অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।
২১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দশ জনেরও কম। সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন থাকলেও সিনিয়র সহ সভাপতি, চার সহ-সভাপতির তিন জনই ছিলেন অনুপস্থিত। ১৫ জন নির্বাহী সদস্যের মধ্যে ৫-৬ জনকে দেখা গেছে।
আজ প্রিমিয়ার লিগে দুইটি ম্যাচ ও আগামীকাল বিভিন্ন ভেন্যুতে ম্যাচ থাকায় শীর্ষ ফুটবলাররাও ছিলেন না। জুনিয়র ডিভিশন, পাইওনিয়ার লিগের কর্মকর্তারাই ছিলেন বেশি। ফেডারেশনের ইফতার আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই মহানগর ফুটবল লীগ কমিটির স্ট্যান্ডিং কমিটি একটি ইফতার আয়োজন করে। সেখানে তৃণমূলের ক্লাবের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
এজেড/এইচএমএ