পান্ডিয়ার বোলিং তোপে ১৩০ রানেই আটকে গেল রাজস্থান

চমকের পর চমক উপহার দিচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া! প্রথমবারের মতো আইপিএলে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, সেটাও একেবারে নতুন দল গুজরাট টাইটানসের। আসর শুরুর আগে পান্ডিয়ার দলটিকে নিয়ে আলোচনা ছিল সবচেয়ে কম। ছোটপর্দার ক্রিকেট বিশ্লেষকরা তখন বলেছিলেন, দুর্বল দল গড়েছে গুজরাট, অধিনায়ক হিসেবে পান্ডিয়াও পরীক্ষিত নন। গুজরাট টুর্নামেন্টে বেশিদূর গেলে সেটা চমকই হবে।
সেই 'চমক'ই হয়েছে। প্রথম পর্বে আইপিএল অভিজাতদের ঘোল খাইয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান অধিকার করেছিল পান্ডিয়ার গুজরাট। সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিতের পর প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসকে পিছু ঠেলে পৌঁছে গেছে ফাইনালে।
ফাইনালেও অব্যাহত আছে তাদের সেই 'চমক'। পান্ডিয়া, সাই কিশোরদের বোলিং তোপে লড়াকু সংগ্রহও গড়তে পারেনি টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা রাজস্থান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মোটে ১৩০ রানেই আটকে গেছে তাদের ইনিংস।
ম্যাচের শুরু থেকে রাজস্থান ব্যাটারদের টুঁটি চেপে ধরেছিলেন গুজরাটের বোলাররা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে রাজস্থান ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালকে (১৬ বলে ২২) ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন যশ দয়াল। অপর প্রান্তে বাটলার যথারীতি ধীরস্থির শুরু করেছিলেন, তবে ঠাণ্ডা শুরুর পর অন্য দিনের মতো আজ আর ঝড় তুলতে পারেননি এবারের আসরে রেকর্ড চার সেঞ্চুরি করা এই ইংলিশ ব্যাটার। ইনিংসের ১৩তম ওভারে পান্ডিয়ার বলে ফিরে গেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৩৯ রান করে।
৪ ওভার করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেওয়া পান্ডিয়ার অপর দুই শিকার রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (১১ বলে ১৪) এবং শিমরন হেটমায়ার (১২ বলে ১১)। বলা যায়, রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড একাই ভেঙে দিয়েছেন গুজরাট অধিনায়ক।
রাজস্থানের বাকি ব্যাটারদের কেউই আর বলার মতো কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে দলটির জন্য আশার বাণী, আইপিএল ফাইনালে ১৫০ বা তার কম রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এখনো পর্যন্ত কোনো দলই জয় পায়নি। দেখা যাক, এই রেকর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জয়োৎসব করতে পারে কিনা আইপিএলের নতুন 'চমক' গুজরাট!
এইচএমএ