অভিভাবক শূন্য সুর কৃষ্ণরা!

গোটা বিশ্বে বক্সিং অত্যন্ত জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় খেলা। বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। হঠাৎ পেশাদার বক্সিং দিয়ে আবার আলোচনায় এসেছিল বক্সিং। দেশের ক্রীড়ামোদীরা সুর কৃষ্ণ ও আল আমিনকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছিলেন তারা। বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন নির্বাচন নিয়ে জটিলতা চলছে।
বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনী কর্মকান্ডের উপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন কর্মকর্তা কবিরুল হাসান বলেন, ‘গত বুধবার আদালত থেকে তিন মাসের স্থগিতাদেশ এসেছে। আগে যেটা ছিল এক মাস।’ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির অনেকেই পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে বক্সিং ফেডারেশনে একটা শূন্যতা বিরাজ করছে।
সামনের মাসে ইংল্যান্ডের বামিংহামে রয়েছে কমনওয়েলথ গেমস। সেই লক্ষ্যে বক্সিং দলের অনুশীলন চলছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুশীলন সংক্রান্ত যোগাযোগ এবং দাপ্তরিক কিছু বিষয় নিয়ে এক প্রকার শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ফেডারেশনের সদ্য সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল তুহিন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনেরও সদস্য হওয়ায় তিনি বিষয়টি সমন্বয় করছেন। যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইনত ফেডারেশনের তার কোনো কর্তৃত্ব নেই। কারণ তিনি পদত্যাগ করেই পুনরায় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।
আগামীকাল আদালতে বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচন সংক্রান্ত একটি শুনানি হওয়ার কথা। সেই শুনানীতেও যদি তিন মাসের নির্বাচন আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। তখন এক বড় অনিশ্চয়তার দিকে হাটবে খেলাটি। এর ভবিষ্যত সম্পর্কে আইন কর্মকর্তা বলেন,‘ কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। এর বাইরে যাওয়া যাবে না আবার খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগও চালাতে হবে। সামগ্রিক বিষয় চেয়ারম্যান মহোদয় অবহিত করা হবে। তিনি পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’
সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনে কাউন্সিলর নিয়ে আপত্তি দিয়েছিলেন এনএসসিতে। সেই আপত্তি গুলোর মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কয়েকটি কাউন্সিলরশিপ বাতিল করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সিদ্ধান্তে তিনি সন্তুষ্ট না হয়ে কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় কোর্ট থেকে নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল প্রথমে এক মাসের। এর পর সেটি এখন নতুন করে তিন মাসের স্থগিতাদেশ এসেছে।
এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকলে ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদের মতে ব্যাডমিন্টনের মতো এই খেলাতেও অ্যাডহক কমিটি হতে পারে। একবার অ্যাডহক কমিটি হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যেতে অনেক সময় যায়।
এজেড/এটি