ফিক্সিং নিয়ে সুষ্ঠু বিচার চায় নোফেল

চলতি ফুটবল মৌসুমে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে ছাপিয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় স্তরের লিগ চ্যাম্পিয়নশীপ। এই আলোচনার প্রায় পুরোটা জুড়ে ম্যাচ আর স্পট ফিক্সিং। চারটি ক্লাবকে নিয়ে বাফুফে ইতোমধ্যে এই বিষয়ে তদন্ত করেছে। ফিক্সিং ইস্যু এখনো তদন্তাধীন থাকলেও আগামীকাল শুরু হচ্ছে শেষ রাউন্ড।
ফর্টিজ ফুটবল ক্লাব লিমিটেড ইতোমধ্যে শিরোপা নিশ্চিত করেছে। এই লিগের রানার্স আপ পজিশনটি এখনো ঠিক হয়নি। ২১ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে আজমপুর দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে নোফেলের পয়েন্ট ৩৭। আজমপুর পরশু দিন শেষ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংককে হারালে লিগে রানার্স আপ হবে। বাইলজ অনুযায়ী লিগের রানার্স আপ দলের প্রিমিয়ার লিগে খেলার কথা। কিন্তু এই ক্লাবটির উপর ফিক্সিং অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ থেকে কোন দলটি দ্বিতীয় হয়ে প্রিমিয়ারে খেলবে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
শেষ রাউন্ড শুরু হওয়ার দুই দিন আগে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বরাবর এক কড়া চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে ক্লাবটির সভাপতি তাবিথ আউয়াল চ্যাম্পিয়নশীপ লিগে চলমান তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ট ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদনের আহ্বান জানিয়েছে। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির কার্যক্রম এবং বাফুফের সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত না হলে আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে বিষয়টি তুলে ধরার প্রচ্ছন্ন হুমকি রয়েছে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের।
আজমপুরের উপর ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাদেরই কোচ সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমও এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন করেছে। সেসব প্রতিবেদন ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি তদন্ত করছে। আজমপুর পাতানো ইস্যুতে শাস্তি পেলে টেবিলে তৃতীয় স্থানে থাকা নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের প্রিমিয়ারে খেলার পথ সুগম হতে পারে। চ্যাম্পিয়নশীপ লিগে তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিটি বিষয় পর্যালোচনা করছে। অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ চলমান রয়েছে।’
ফুটবল অঙ্গনে গুঞ্জন ছিল বাফুফে মাঠেই প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপের ট্রফি প্রদান করবে। সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ‘আমাদের অফিসে চ্যাম্পিয়ন বিষয়ে প্রস্তুতি রয়েছে। রানার্স আপের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি’-- আজ (শুক্রবার) এমনটাই জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। শুধু চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে ফেডারেশন।
চ্যাম্পিয়নশীপ লিগে এক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কিছুটা আপত্তি রয়েছে ফর্টিজকে আগামীকালই ট্রফি দেয়া নিয়েও, ‘একটি মিডিয়ায় ফর্টিজের কর্মকর্তা বলেছিলেন আমাদের খেলোয়াড়রাও অনেক সময় বলে আজকে এই দল ৪ গোলে জিতবে। আমিও অবাক হই, কিভাবে ৪ গোলে জিতবে, পরে দেখা যায় ঠিকই ৪ গোলে জিতেছে, এ রকম মন্তব্যকেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।’
এ রকম মন্তব্য তদন্তের আওতামুক্ত হওয়ায় ফুটবলাঙ্গনে কিছুটা বিস্ময় রয়েছে! এরপরও ফুটবলসংশ্লিষ্টরা অপেক্ষায় রয়েছে আজমপুরসহ আরও কয়েকটি ক্লাবের বিষয়ে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি কি সিদ্ধান্ত নেয়।
এজেড/এইচএমএ