সিলেটে বন্যায় পণ্ড আকবর-মৃত্যুঞ্জয়দের ক্যাম্প

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ক্রমশ পানি বেড়ে চলায় প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক পথের সঙ্গে রেলপথও পানির নিচে ডুবে গেছে। বন্ধ আছে বিমান ওঠানামা। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে ক্যাম্প করা সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি)।
এজন্য দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসছেন আকবর আলী, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা। আজ শনিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছে এইচপি ইউনিট। তড়িঘড়ি করে ঢাকায় ফিরে আপাতত হোটেলে থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠ ও ইনডোরে পালা করে অনুশীলন করবে তারা।
এইচপি ক্যাম্পের এবারের পর্বে অনুশীলনের জন্য সুযোগ পেয়েছেন ২৭ জন তরুণ ক্রিকেটার। যেখানে আধিক্য দেওয়া হয় পেসারদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন এই ক্যাম্পে।
এবারের এইচপি ক্যাম্প শুরু হয় ১৫ মে। কক্সবাজারে অনুশীলন পর্ব চলে ১ জুন অবধি। সেখানে হয় ফিটনেস ও বোলিং ক্যাম্প। কক্সবাজারের পর সিলেটে ক্যাম্প চলছিল। এই ক্যাম্প চলার কথা ছিল ৬ জুলাই পর্যন্ত। তবে বন্যায় পণ্ড হয়ে গেল সব।
এদিকে মিরপুরে গত ১২ জুন থেকেই মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প। তাই সকালে ও বিকেলে এইচপির জন্য মাঠ ফাঁকা করে দুপুরের সময়টা টাইগার্সের জন্য বরাদ্ধ রাখার কথা ভাবছে বিসিবি।
সিলেটের পর এইচপি দলের ক্যাম্প হওয়ার কথা চট্টগ্রামে। কিন্তু পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বদলে খুলনায় হবে এইচপির ক্যাম্পের শেষ পর্ব। এর মধ্যে বাংলাদেশ ’এ’ দলের বিপক্ষে এইচপি দলের দুটি তিন দিনের ম্যাচ ও দুটি একদিনের ম্যাচ খেলার কথা। তিন দিনের ম্যাচগুলো রাজশাহীতে আয়োজন করতে চাইছে বিসিবি।
টিআইএস/এটি/এনইউ