পিছিয়ে গেল বাফুফের সভা

আজ মঙ্গলবার বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গত পরশু দিন এই সভা বাতিল করা হয়েছে ৷ ফলে দেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সভা আরো পিছিয়ে গেল।
২৭ জুন সাধারণ সম্পাদক ৫ জুলাই সভার চিঠি স্বাক্ষর করে কমিটির সবাইকে সরবারহ করেছিলেন । ছয় দিন পরেই এই সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। বাফুফের অনেক সদস্য ঢাকার বাইরে অবস্থান করেন। ঈদের মাত্র ৫ দিন আগে তাদের ঢাকায় এসে সভায় যোগদান করে আবার নিজ জেলায় ফেরা কষ্টসাধ্য। এরপরও ৫ জুলাই সভার দিনক্ষণ ঠিক ছিল। ৩ জুলাই সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তী সভার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
গত বছর নভেম্বরে জরুরি নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে সাধারণ নিয়মিত সভা হয়েছিল ১৬ সেপ্টেম্বর। সেটা অবশ্য ছিল ১৭ জুলাইয়ের মুলতবি সভা। আজ সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ঈদের পর হবে এটা সহজেই অনুমেয়। ফলে দুই সাধারণ নিয়মিত নির্বাহী সভার ব্যবধান দাড়াবে এক বছরের বেশি সময়।
বাফুফের গঠনতত্ত্ব অনুযায়ী বছরে ৩ বার নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে। কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিটি ২০২০ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নিয়েছে। গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত ৪টি নির্বাহী সভা ও একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২১ অক্টোবর থেকে চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত তিনটি সভা অনুষ্ঠিত করতে হবে। গত বছর নভেম্বরে একটি জরুরি সভা হয়েছিল। ফলে এই জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে ন্যূনতম দুটি সভা করতে হবে বাফুফেকে।
দেশের ফুটবলে গত কয়েক মাসে অনেক কর্মকাণ্ড হয়েছে। সেই সকল কর্মকাণ্ডই বিষয় ভিত্তিক আলোচ্য সূচিতে ছিল আজকের সভায়। মোট ১২ টি এজেন্ডা ছিল আজ। নির্বাহী সভা অনিয়মিত হলেও বাফুফের কয়েকটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা হয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। বিগত কয়েক মাসে ফেডারেশনের অনেক কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা হয়েছে যা নির্বাহী কমিটির অনেকেই অজ্ঞাত। নির্বাহী সভাই তাদের কথা বলার একমাত্র ক্ষেত্র। সভা পেছানোয় তাদের অপেক্ষা আরো বাড়ল। নিজেদের বঞ্চনা, দুঃখের কথা অনেকে ফুটবল অঙ্গনে বলে বেড়ালেও নির্বাহী সভায় অধিকাংশ সময় থাকেন নিশ্চুপ।
এজেড/এটি/এনইউ