মোসাদ্দেককে নিয়ে আগেই পরিকল্পনা করেছিলেন সোহান

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন; হারের বৃত্তে আটকে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে যেন পথ দেখালেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাঁচাতে নেমে এই অফ স্পিনারের ঘূর্ণিতে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ৪ ওভারের স্পেলে মোসাদ্দেক একাই নেন ৫ উইকেট। ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচে মোসাদ্দেককে দিয়ে বল হাতে ইনিংস শুরু করান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অথচ একাদশে ছিলেন আরেক অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। স্পিন দিয়ে বোলিং অ্যাটাক শুরু হলে তিনিই থাকেন অধিনায়কের প্রথম পছন্দ। অথচ আজ রোববার ম্যাচে মোসাদ্দেক কেন? ম্যাচ জিতে এই অফ স্পিনার বললেন, অধিনায়ক সোহান আগেই এভাবে পরিকল্পনা করে রেখছিলেন।
আরও পড়ুন >> মোসাদ্দেক-লিটনের নৈপুণ্যে ৭ উইকেটে জয় বাংলাদেশের
ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘দারুণ লাগছিল। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল আমি ইনিংস শুরু করব। অধিনায়ক আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন আমাকে। গত ম্যাচের হার নিয়ে খুব বেশি কথা বলিনি। শুধু বলেছি- দল হিসেবে খেললে অবশ্যই জিতব।’
প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত মোসাদ্দেকের। নিজের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে নেন আরো ১টি করে উইকেট। এতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ফাইফারের স্বাদ পেলেন তিনি। নিজের কোটার ৪ ওভারের স্পেলে ২০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। তার এই বোলিং ফিগার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, গোটা ক্রিকেট ক্যারিয়ারেই সেরা। একই সঙ্গে দেশের পক্ষে এই ফরম্যাটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
আরও পড়ুন >> মোসাদ্দেকের ৫ উইকেট, দিশেহারা জিম্বাবুয়ে
পরে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৩৬ রান টপকাতে নেমে অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস। দুইজনেই প্রশংসা বন্যায় ভাসালেন সোহান।
অধিনায়ক বলছিলেন, ‘ছেলেরা দারুণ পারফর্ম করেছে। বিশেষ করে বোলাররা আজ অনেক ভালো করেছে। মোসাদ্দেকই পথ দেখিয়েছে, লিটন পথ দেখিয়েছে ব্যাটিং ইউনিটকে। না, আমার মনে হয় টস জিতলে আমরা প্রথমে বোলিংই নিতাম। আশা করি শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটাই দিব।’
টিআইএস/এইচএমএ