শীর্ষ সংগঠনের সেরার স্বীকৃতি

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। আজ শুক্রবার (৫ আগস্ট) শহীদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে সেরা সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে বিওএ। গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ এই সংস্থা এখন বেশ সক্রিয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রশংসা করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বড় গেমসগুলোতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় প্রতি গেমসেই আমরা আন্তর্জাতিক পদক পাচ্ছি। বিশেষ করে ২০১৯ সালে এসএ গেমসে বাংলাদেশ রেকর্ডসংখ্যক ১৯টি স্বর্ণ অর্জন করেছিল।’
বর্তমানে দু’টি আন্তর্জাতিক গেমসে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে। ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস ও তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটিতে বাংলাদেশ বিভিন্ন ডিসিপ্লিন অংশ নিচ্ছে। বার্মিংহাম থেকে মাত্র দুই দিন আগে ফিরে এসেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। সেখানে পদক না পেলেও ইসলামিক গেমসে পদকের আশা করছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এই শীর্ষ অভিভাবক, ‘কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিং ডিসিপ্লিন নেই এবার। আমরা শুটিং থেকেই পদক পেতাম আগে। কমনওয়েলথে আমাদের টিটি দল জয়লাভ করেছে। কমনওয়েলথে পদক না আসলেও ইসলামিক গেমসে আমরা ভালো ফলাফলের আশা করছি।’
২০১২ সালে সৈয়দ শাহেদ রেজা বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করেন। বাংলাদেশের অলিম্পিক খ্যাত বাংলাদেশ গেমস ২০০২ সালের পর এক দশক স্থগিত ছিল। ২০১৩ সালে আবার বাংলাদেশ গেমস পুনরায় শুরু হয়। গত বছর এপ্রিলে করোনা প্রতিকূলতার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের সফল আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। ২০১৭ সালে যুব বাংলাদেশ গেমস প্রবর্তন হয়। এর দ্বিতীয় আসর এই বছর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ঘরোয়া আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ঘরোয়া অঙ্গনে খেলা প্রয়োজন। বাংলাদেশ গেমস সেটার একটা উপযুক্ত পরিবেশ। যুব গেমস বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় প্রভাব ফেলবে।’ গেমস আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করার কথাও বলেন।
শহীদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে প্রথম দুই বছর পুরস্কার পেয়েছে দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা। সামনের দিনগুলোতে তৃণমূলে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ‘তৃণমূলে অনেক কোচ,সংগঠক কাজ করেন। আগামীতে কোচ, রেফারি ও তৃণমূলের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি হতে পারে। আমরা চাই ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি স্তরে স্বীকৃতি প্রদান করতে’--বলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এজেড/এইচএমএ