ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেলো নিউজিল্যান্ড

উইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের ভিতটা আগে থেকেই গড়া ছিলো নিউজিল্যান্ডের জন্যে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিল ওয়াগনারের ছয় উইকেটে সেটা নিশ্চিত হয়েছে আজ রোববার। সফরকারী ক্যারিবীয়দেরকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৭ রানে রুখে দিয়ে ইনিংস ও ১৩৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
বড় জয়ের ভিত্তিটা মূলত তৈরি হয়ে গিয়েছিলো নিউজিল্যান্ডের ইনিংসেই। হ্যামিল্টনের সবুজ উইকেটে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ক্যারিয়ার-সেরা ২৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে নিউজিল্যান্ড পায় ৫১৯ রানের পুঁজি।
তৃতীয় দিনে টিম সাউদি ও কাইল জ্যামিসনের তোপে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে ফলো অনে পড়ে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তিই ঘটায় ক্যারিবীয়রা। স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তুলতে সাজঘরমুখো হন ছয় উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। তবে জার্মেইন ব্ল্যাকউড আর আলজারি জোসেফের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস হার এড়ানোর কিছুটা আশা জাগিয়ে তুলেছিলো সফরকারী শিবিরে।
চতুর্থ দিনের শুরুর এক ঘণ্টা ব্ল্যাকউড আর জোসেফের কল্যাণে নির্ঝঞ্ঝাটে কেটেছে সফরকারীদের। তাতে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের অপেক্ষাটাই একটু করে বেড়েছে, এই যা! উইন্ডিজের ইনিংস হার এড়ানোর আশা মিলিয়ে যেতে সময় নেয় মোটে ১৫ ওভার। ব্ল্যাকউড-জোসেফের জুটি দেড়শো রানের মাইলফলক ছুঁতেই আঘাত হানেন জ্যামিসন। বদলি ফিল্ডার মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে ফেরেন জোসেফ। পরের ওভারে ওয়াগনারের শিকার হয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ফিরলেন সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ব্ল্যাকউড, উইন্ডিজের ইনিংস হার নিশ্চিতই হয়ে গেছে ততক্ষণে।
প্রথম দিনেই উইকেটের পেছনে থাকা শেন ডওরিচ চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। ফলে স্বাগতিক দলটির প্রয়োজন ছিলো নয় উইকেট। ব্ল্যাকউডের চার বল পর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলও ওয়াগনারের শিকার হয়ে ফিরলে শেষ আনুষ্ঠানিকতাটাও সেরে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে দারুণ এক দ্বিশতকের সুবাদে উইলিয়ামসনের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে আগামী ১১ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে উইলিয়ামসনের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড-৫১৯/৭ ডিক্লেয়ার (উইলিয়ামসন ২৫১, ল্যাথাম ৮৬, জ্যামিসন ৫১০; রোচ ৩-১১৪, গ্যাব্রিয়েল ৩-৮৯)
উইন্ডিজ ১৩৮ (ক্যাম্পবেল ২৬; সাউদি ৪-৩৫, জ্যামিসন ২-২৫, ওয়াগনার ২-৩৩) ও ২৪৭ (ফলোঅন) (ব্ল্যাকউড ১০৪, জোসেফ ৮৬; ওয়াগনার ৪-৬৬, জ্যামিসন ২-৪২)
ফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ১৩৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: নিউজিল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন।
এনইউ